অনলাইন ডেস্ক : স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী রবিবার থেকে খুলছে সব ধরনের দোকানপাট। এজন্য প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। তবে পাশাপাশি সামনের দিনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এর জন্য আর্থিক জরিমানার বিধান চেয়েছেন সমিতির নেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য এ শাস্তি চান তারা।
সমিতির নেতারা বলছেন, অনেক চেষ্টা করেও বিগত দিনগুলোতে বিপণী বিতানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানানো যায়নি। তাই এক্ষেত্রে আর্থিক জারিমানার বিধান থাকা উচিত। এক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার না করলে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে ৫০০ টাকা জরিমানা ও হাঁচি-কাশি, জ্বর নিয়ে কেউ লোকালয়ে আসলে তাকে ১০০০ টাকা জরিমানার বিধান রাখার দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ দোকানমালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলালউদ্দিন, মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভূইয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে অবহিত করা হয়েছে ৩০ মের পর সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং ঢাকাসহ সারা দেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট সীমিত পরিসরে খোলা যাবে।
সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও জীবন-জীবিকা বাঁচানোর তাগিদে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। রমজান মাসে মার্কেট ও দোকান সমূহে স্বাস্থ্যবিধি মানার ট্রেনিং আমরা সম্পন্ন করেছি। এ সত্ত্বেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বার বার বলার পরেও দোকান মালিক, কর্মচারী ও ক্রেতা সাধারণকে শতভাগ মাস্ক পরানো সম্ভব হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে শুধু মাত্র মাস্ক ব্যবহার করলে করোনা সংক্রমণ ৮০ ভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এমতাবস্থায় সকল বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা শহরের দোকানমালি কসমিতি ও মার্কেট কমিটিকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচলানার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
সেই সাথে মাস্ক ব্যবহার না করলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে ৫০০ টাকা জরিমানা ও হাঁচি-কাশি, জ্বর নিয়ে কেউ লোকালয়ে আসলে তাকে ১০০০ টাকা জরিমানার বিধান রাখার জন্য আমরা সরকারের নিকট অনুরোধ জানাই। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আগে জীবন পরে জীবিকা।