অনলাইন ডেস্ক : দেশের প্রথম সারির সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনীর ৭ হাজার ৫৮৩ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একক পেশা হিসেবে পুলিশে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২১ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আনসারে আক্রান্ত হয়েছে ৪২১ জন। এছাড়া ১১ কর্মকর্তাসহ ফায়ার সার্ভিসে আক্রান্ত হয়েছে ১৪১ জন সদস্য। মঙ্গলবার (৯ জুন) তিন বাহিনীর সদর দপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পুলিশের ৪০৯ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত পুলিশের মোট ৭ হাজার ২১ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গত সোমবার এই সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৬১২ জন। চলমান এ যুদ্ধে পুলিশে কর্মরত ও সংযুক্ত মোট ১৯ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। যার মধ্যে ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং বাকি একজন সিভিল কর্মকর্তা।
সূত্র আরো জানায়, সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত পুলিশের সদস্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ১ হাজার ৮৫০ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। সুচিকিৎসা ও সুনিবিড় পরিচর্যায় ৩ হাজার ৪৯ জন সদস্য করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন।
পুলিশে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৯১৩ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৮ হাজার ৯০ জন পুলিশ কর্মকর্তা।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর সুত্র জানায়, ১১ কর্মকর্তাসহ ১৪১ ফায়ার সার্ভিসের সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২ জন কর্মকর্তাসহ ৫৪ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে বাকি ৭৮ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে এবং ১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ ৫৪ জন আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত সবার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। কারো যদি স্বাস্থ্যের অবনতি হয় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি করাসহ তাৎক্ষণিকভাবে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আজ পর্যন্ত ৪২১ জন আনসার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৪৪ জন সদস্য সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার ৫৮ শতাংশ। করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আনসারের ২ সদস্য। হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন। ৯৮ জন সদস্য বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭৭ জন সদস্য।