Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

করোনাভাইরাস : যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ২০ লাখ ছাড়াল

অনলাইন ডেস্ক : করোনার থাবায় বিপর্যস্ত বিশ্ব। দেশে দেশে এখনও নতুন আঙ্গিকে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করে সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মহামারীর এই পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমার ইঙ্গিত মিললেও ফের দেশটিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে আক্রান্তে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ পজিটিভের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়াল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।

বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসের। তবে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারকাছে নেই কোনো দেশ। সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত ২০ লাখ ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৪১ জন। মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা, দেশে গত জানুয়ারিতেই প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর গত ২৮ এপ্রিল দেশটিতে শনাক্ত সংক্রমণের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। আর তারপর দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মোট শনাক্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণ অনুযায়ী টানা পাঁচ সপ্তাহ ধরে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে থাকার পর সেখানে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ফের সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া এর একটি কারণ হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অর্থনৈতিক কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে মরিয়া ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে আর কিছু খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে আগের চেয়ে লোক চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্ত বাড়ার প্রবণতা শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু যেকোনোভাবেই হোক অর্থনীতি সচল করতে চান ট্রাম্প।

কোভিড-১৯ বিপর্যয়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে গণবিক্ষোভ। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার জের ধরে সৃষ্ট বর্ণবাদবিরোধী তুমুল বিক্ষোভে দেশটিতে করোনা বিস্তার আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কিন্তু নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে ট্রাম্প মারাত্মক এক চাপে পড়েছেন। সমালোচকদের অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠকারী নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই দুটি বিপর্যয় এখন মহাবিপর্যয়ে রূপ নিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভে অনেকে মাস্ক পরছেন না। মানা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব বিধি। ফলে আসছে সপ্তাহগুলোতে আক্রান্ত আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Exit mobile version