ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মুশাররফ বলেছেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্ক আবারো বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। তবে এতে কোনো পারমাণবিক হামলা হবে না। আমরা যদি ভারতে একটি পারমাণবিক বোমা হামলা চালাই, তাহলে প্রতিবেশি দেশ ২০টি পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়ে আমাদের শেষ করে দিতে পারে।’
‘সুতরাং একমাত্র সমাধান হলো আমাদের প্রথমেই ভারতে একযোগে ৫০টি পারমাণবিক বোমা দিয়ে হামলা চালাতে হবে; যাতে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ২০টি পারমাণবিক বোমা দিয়ে হামলা চালাতে না পারে। অাপনি কি ৫০টি পারমাণবিক বোমা দিয়ে একযোগে ভারতে হামলা চালাতে প্রস্তুত?’
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘প্রতিবেশি দেশটির ওপর পাকিস্তান যদি মাত্র একটি পারমাণবিক বোমা হামলাও চালায়, তাহলে তারা ২০টি পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়ে আমাদের শেষ করে দিতে পারে।
রোববার দেশটির ইংরেজি দৈনিক ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুই দেশের মাঝে চলমান কথার লড়াইয়ের মাঝে এসব কথা বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক এ স্বৈরশাসক। তার দাবি, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিল ইসরায়েল।
অল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এপিএমএল) প্রতিষ্ঠাতা ৭৫ বছর বয়সী জেনারেল মুশাররফ ২০১৬ সাল থেকে দুবাইয়ে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে রয়েছেন। সংবিধান স্থগিত করে ২০০৭ সালে দেশটির ক্ষমতা দখল করায় বর্তমানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ২০১৬ সালে চিকিৎসার জন্য আদালতের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশের বাইরে গেলেও এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে ফেরেননি তিনি।
১৯৯৯ সালে এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরীফকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। ৯ বছর ক্ষমতায় থাকার পর সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে সাবেক সেনাপ্রধান মুশাররফের; ফের ক্ষমতায় আসেন নওয়াজ।
পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পারভেজ মুশাররফ বলেন, আমার মতে, বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো এবং অনুকূল। মন্ত্রিসভার অর্ধেক সদস্য আমার। বর্তমান আইন মন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি জেনারেল আমার আইনজীবী ছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক বাহিনীর (সিআরপিএফ) গাড়ি বহরে প্রাণঘাতী হামলার জেরে ইসলামাবাদের সঙ্গে নয়াদিল্লির নজিরবিহীন উত্তেজনা চলছে। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মোহাম্মদ ওই হামলা চালায়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে হামলার কড়া জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে অনুমতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ভারত কোনো হামলা চালালে তার জবাব পুরোদমে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়া।