
অনলাইন ডেস্ক : সৌদি আরবের মদিনার তাইবাহ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সফলভাবে চিকিৎসা করেছেন তারা। এজন্য কালোজিরা ব্যবহার করা হয়েছে; যা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি। ওই গবেষকদলের গবেষণাপত্র ছাপা হয়েছে মার্কিন জার্নাল ‘পাবলিক হেলথ রিসার্চ’-এ।
গবেষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে, কালোজিরা ব্যবহারের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। টিস্যু সুরক্ষিত থাকে, ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্থ হয় না এবং ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কালোজিরা হলো রাসূল (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা উপকরণ। এটা বীজ আকারেই খাওয়া যায়, চাইলে গুঁড়া করেও খাওয়া যায়। এছাড়া খাবারের সঙ্গে কিংবা জুস আকারেও খাওয়া যায়। অনেকেই এর তেল কিংবা ভর্তা খান।
কালোজিরার নানা রকম গুণ রয়েছে। কারণ, এতে রয়েছে- নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফেট, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি ২, নায়াসিন, ভিটামিন-সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট।
গবেষকদের দাবি, কালোজিরা ব্যবহারের ফলে মারাত্মক সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়, ফুসফুসের সমস্যা ধীরে ধীরে সেরে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস এবং শ্বাসনালি ভালো রাখতে কালোজিরা দারুণ কাজের। যাদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে, কালোজিরা ব্যবহারে তারাও আরোগ্য লাভ করেন। শ্বাসযন্ত্রে যে কোনো ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরা অব্যর্থ ওষুধ। অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দিতেও কালোজিরা কার্যকর।
গবেষকরা দাবি করেছেন, ভাইরাল হেপাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত রোগীও কালোজিরা ব্যবহারে উপকার পায়। এইচআইভি এইডস-এ আক্রান্ত রোগীও কালোজিরা ব্যবহারে উপকার পান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে সারিয়ে তোলার জন্য গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন-
দুই গ্রাম কালোজিরা, এক গ্রাম ক্যামোমিল ফুল চূর্ণ, এক চামচ মধু একত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে হবে। এসব খাওয়ার পর জুস কিংবা একটি কমলা খাওয়া যেতে পারে। লেবু খেতে পারলে ভালো হয়। এভাবে প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে। করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এভাবে খেতে হবে।
গবেষকরা আরো বলছেন, রোগী আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হলে প্রথম সপ্তাহে দিনে পাঁচবার এভাবে খেতে হবে। আর পরবর্তী সময়ে মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিনে একবার করে খেতে হবে।
রোগীর যদি কাশি বেশি হয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাহলে কালোজিরা এবং লবঙ্গ মেশানো পানি গরম করে ধোঁয়া নাক দিয়ে টেনে নিতে পারেন। কিংবা কালোজিরা ও ক্যামোমিল ফুল মেশানো পানিতে গরম করেও বাষ্প টেনে নিতে পারেন।
গবেষকরা বলছেন, যদি অক্সিজেনের অভাব হয়, তাহলে এক চামচ কালোজিরা, এক চামচ ক্যামোমিল ফুল চূর্ণ এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে হালকা গরম করতে হবে। এভাবে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার পানি গরম করে বাষ্প নাক দিয়ে টেনে নিতে হবে।
জানা গেছে, সৌদি আরবের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির মেডিসিন অনুষদের ক্লিনিক্যাল বায়োক্যামিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার মেডিসন বিভাগের গবেষকরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন।
গবেষকদের একজন ডা. সালেহ মুহাম্মদ বলেন, কালোজিরা এবং ক্যামোমিল ফুল করোনা সংক্রমণ বন্ধ করে দিতে সক্ষম। আল্লাহর রহমতে, যেসব করোনা রোগীদের তাবিয়াহ ইউনিভার্সিটির চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই সেরে উঠছে, তারা নিজেদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এই পদ্ধতিতে রোগীদের সেরে উঠতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগছে না।
সূত্র : মুসলিম ইঙ্ক, আমেরিকান জার্নাল অব পাবলিক হেলথ রিসার্চ
<p>পরিচিতি</p><p>প্রকাশক ও সম্পাদক - মোঃ সালমান শাহেদ</p><p>বার্তা সম্পাদক - সজীব কুমার নন্দী</p><p>যোগাযোগ</p><p>ঢাকা অফিস: ৯৫ আজিজ ম্যানশন, (৩য়) তলা, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান সড়ক, কাকলী বনানী ঢাকা-১২১৩ বাংলাদেশ। </p><p>১৩৪ এন.এস.রোড, কুষ্টিয়া - ৭০০০, বাংলাদেশ।</p><p>ফোন - +৮৮০-১৮৩১-৩৬৬০১২</p><p>ই-মেইল - info@desherpotrika.com</p><p>সতর্কতা</p><p>এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার ও কপি করা বেআইনি।</p><p>© কপিরাইট ২০১৮ । www.desherpotrika.com</p>
Copyright © 2025 দেশের পত্রিকা - দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে. All rights reserved.