কুষ্টিয়ায় ১৮ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যেসব এলাকা ‘লকডাউন’

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮ টি ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন, ভেড়ামারা পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডসহ বাহিরচর ও চাঁদ গ্রাম রেডজোন হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৮  জুন ২০২০)  থেকে এই রেড জোন চিহ্নিত এলাকা লোকডাউন করার সিদ্ধান্ত প্রজ্ঞাপন আকারে আগামীকাল বুধবার জানিয়ে দেওয়া হবে বলা জানায়  জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার  ( ১৬ জুন ২০২০ )  জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক  মৃণাল কান্তি দে এর সভাপতিত্বে  সভায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জনাব হাজী রবিউল ইসলাম ।

সভায় গত ১৪ দিনে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ডগুলোকে তিন শ্রেনীতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১, ২, ৫, ৬, ৭, ১৬, ১৮ ও ২০নং ওয়ার্ড এবং সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন রেডজোন হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে  মৃণাল কান্তি দে জানান,  করানো বিষয়ক জরুরি সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় আগামী বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১,২,৪,৬,৭,১৮,২০ নং ওয়ার্ড এবং হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এবং ভেড়ামারা পৌরসভার ১,২,৩,৪,৬,৮ও৯ নং ওয়াড সহ গ্রামসহ বাহিরচর ও চাঁদ গ্রাম লকডাউন করা হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কমিশনার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রজ্ঞাপন আকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে

জরুরি সভায় বক্তারা সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আপনারা আতংকিত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন, ঘরে থাকুন, বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হবেন না, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধৌত করুন। যত্রতত্র কফ, থুতু ফেলবেন না। হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় টিস্যু পেপার, রুমাল, বাহুর ভাঁজ ব্যাবহার করুন ও ব্যাবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত বিনে ফেলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। একে অপরের থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন ও মাস্ক ব্যবহার করুন।

জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ (১৫ জুন ২০২০)  তথ্য মতে,  জেলায় নতুন করে আরও ১৯  জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।  এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা (বহিরাগত বাদে) দাঁড়ালো ২৪৩  জনে। মারা গেছেন ১ জন।  এর মধ্যে মোট সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪২ জন। একই সাথে বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১৯৩ জন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫  জন ও খুলনাতে ২ জনকে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *