অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রথম যে ভ্যাকসিনগুলি বাজারে আসবে, সেগুলি সংক্রমণ পুরোপুরি নাও রুখতে পারে। সেই টিকাগুলির কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। আর সেটা অস্বাভাবিকও নয়। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্যাকসিন দেওয়ার পরের দিন থেকেই যদি কেউ ভাবতে শুরু করেন, করোনায় সংক্রমণের আর কোনও আশঙ্কা নেই তার, সেটাই সবচেয়ে বড় ভুল হবে। কারণ ওই সময় উপসর্গ না থাকলেও পরে তিনি ফের আক্রান্ত হতে পারেন করোনাভাইরাসে।
ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক রবিন শ্যাটক বলেছেন, দেখতে হবে সেই ভ্যাকসিনগুলি কি সংক্রমণ রুখতে পারছে পুরোপুরি? নাকি সেগুলি সংক্রমিত হয়ে যাতে কেউ অসুস্থ না হয়ে পড়েন, সে ব্যাপারে কার্যকরী হচ্ছে? হয়তো দেখা যাবে, ওই দু’টি ক্ষেত্রে কোনও কাজেই লাগছে না ভ্যাকসিনগুলি। তখন এটাও দেখতে হবে, করোনা রোগীরা যাতে আরও বেশি অসুস্থ না হয়ে পড়েন, সেটা কি নিশ্চিত করতে পারছে ভ্যাকসিনগুলি?
দ্রুত করোনা সংক্রমণ রুখতে গত কয়েক মাস লকডাউনের জেরে থমকে আছে গোটা বিশ্ব। তার ফলে বিশ্বের অর্থনীতির হাল করুণ হয়ে উঠেছে। পরে ধাপে ধাপে লকডাউন উঠিয়ে নিয়ে ছন্দে ফেরার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তাতে মানুষের মেলামেশা বাড়ার সম্ভাবনা বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে সংক্রমণের আশঙ্কাও। তাই বিশ্বজুড়েই যেভাবেই হোক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোভিডের ভ্যাকসিন বাজারে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে জোরকদমে। ।যাতে সংক্রমণ রোখা যায়।
সূত্রের খবর, কোভিডের প্রথম টিকাগুলি বাজারে আনতে চলেছে সম্ভবত তিনটি সংস্থা ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেসা এবং চিনা সংস্থা ক্যানসিনো বায়োলজিক্স।
কিন্তু কোনও টিকাকে কোনও সংক্রমণ রুখতেই হবে, সেটাই তার এক ও একমাত্র কাজ, তা একেবারেই সঠিক নয় বলে মনে করেন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপ্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ইমিউনোলজিস্ট ডেনিস বার্টন।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট ভাইস চ্যান্সেলর মিশেল কিঞ্চ জানান, আবার ভ্যাকসিন নিলাম আর বরাবরের মতো সেরে উঠলাম এমন ভাবনা সদ্য লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করা দেশগুলির নাগরিকদের পক্ষে পরে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরের দিনই অনেকে ভাবতে শুরু করবেন, আর কোনও চিন্তা নেই। আমি বরাবরের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারব। এটা বড় ভুল হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কিন্তু তারা ফের সংক্রমিত হতে পারেন। এটা ভুলে গেলে চলবে না।