করোনায় আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কোভিড-১৯ সংক্রমনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন মানুষের সেবাই কাজ করে চলেছেন কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার)। যেখানে সমস্যা সেখানেই ছুটে চলেছেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনো পিছু হটেনি পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সুপারের সঠিক দিক নির্দেশনায় পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে যে সকল পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছে তাদের জন্য ফল মূল সহ বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন। গতকাল রবিবার বেলা ১২টার দিকে করোনা হটস্পট শহরের গোশালা সড়কে লকডাউন এলাকায় যান পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত। তিনি ওই সড়কে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন তাদের শারিরীক অবস্থার খোজ খবর নেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মুস্তাফিজুর রহমান, সদর সার্কেল আতিকুর রহমান আতিক, কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের অন্যান্য অফিসার কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।

২১ জুন রবিবার মানবতার ফেরিওয়ালা কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) কুষ্টিয়া জেলার আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ খবর নেন এবং এই করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিধিসহ সরকারী বিধি নিষেধ মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা চলাকালে যে কোন প্রয়োজনে পুলিশ সুপার এর সাথে যোগাযোগের জন্য তাঁর মোবাইল নম্বর প্রদান করেন। পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, আক্রান্তরা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। এদিকে তাদের মনোবল বাড়াতে নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর রাখাসহ প্রয়োজনীয় সব দরকারি জিনিস নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মনোবল চাঙ্গা থাকে এ জন্য নানা জাতের ফল উপহার পাঠানো হয়। তাদেরকে সরকারি বিধি নিয়ম মেনে চলতে বলেন। করোনা নিয়ে আতঙ্ক না হয়ে মনে সাহস জাগিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। দুরত্ব বজায় রেখে সকলকে চলতে হবে। তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেন- জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না, ঘরে থাকুন সুস্থ থাকুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *