Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

‘করোনাভাইরাস ধ্বংস করে গ্রীষ্মের সূর্যরশ্মি, নতুন গবেষণা’

অনলাইন ডেস্ক : প্রাণঘাতী যে করোনাভাইরাসের জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব, সেই ভাইরাসকে গ্রীষ্মের সূর্যরশ্মি অল্প সময়েই ধ্বংস করতে পারে বলে নতুন একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।

গবেষণায় মার্কিন দুই বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের বেশিরভাগ শহরে গ্রীষ্মের মধ্য-দুপুরে ১১ থেকে ৩৪ মিনিটের মতো সূর্যের আলোতে এলে নতুন করোনাভাইরাস ৯০ শতাংশ কিংবা তারও বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ওই দুই বিজ্ঞানীর লুইস সাগ্রিপান্তি এবং ডেভিড লিটল।

এই গবেষণায় গবেষকরা সূর্যের ইউভি রশ্মি (আল্ট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন বা অতি বেগুনি রশ্মি) বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শহরে ভাইরাসটি কীভাবে ধ্বংস করতে পারে তা বিশ্লেষণ করেন।

বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, গ্রীষ্মে বেশিরভাগ মার্কিন শহর এবং বিশ্বের অন্যান্য শহরে দুপুরের সূর্যের আলো মাত্র ১১ থেকে ৩৪ মিনিটের মধ্যে পৃষ্ঠের ওপরে থাকা ৯০ শতাংশ করোনা ধ্বংস করতে পারে।

গবেষকদের মতে, ডিসেম্বর থেকে মার্চ সময়কালে ভাইরাসটি একদিন বা তারও বেশি সময় পৃষ্ঠের উপরে বেঁচে থাকতে পারে।

ফটোক্যামিস্ট্রি এবং ফটোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় গবেষকরা লিখেছেন, বর্তমান তথ্য-উপাত্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিশ্বের বিভিন্ন জনবহুল শহরে গ্রীষ্মকালে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস তুলনামূলকভাবে দ্রুত নিষ্ক্রিয় হওয়া উচিত। করোনার বিস্তার এবং মহামারির সময়কাল কমাতে সূর্যের আলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আমাদের দেশে গ্রীষ্মকাল যদিও পার হয়ে গেছে, তবে ভাদ্র মাসে তালপাকা গরমের দিনের ক্ষেত্রে এই খবর আশাব্যাঞ্জক।

তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, সূর্যের আলো করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে না। সংস্থাটি এর ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, রোদের মধ্যে অবস্থান করা বা ২৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রাও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম নয়। আবহাওয়া যেমনই হোক, করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইউভি ল্যাম্প ব্যবহার না করার পরামর্শও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির মতে, হাত বা শরীরের অন্যান্য স্থানের ত্বক জীবাণুমুক্ত করার জন্য ইউভি ল্যাম্প ব্যবহার করা উচিত নয়। ইউভি বিকিরণ ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সূত্র:ডেইলি মেইল, ডেইলি মিরর

Exit mobile version