অনলাইন ডেস্ক : করোনা আক্রান্ত রোগীদের দ্রুতই সুস্থ করে তুলতে পারে ‘রেমডেসিভির’ (জেনেরিক নাম) নামের একটি ওষুধ। ভারতে এই ওষুধের ব্র্যান্ড নাম কোভিফর। হায়দরাবাদের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘হেটেরো’র বানানো ওই ওষুধ প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লিসহ পাঁচটি রাজ্যে কভিড রোগীদের চিকিৎসায়। পরবর্তী পর্যায়ে কোভিফর পশ্চিমবঙ্গেও পাঠানো বলে হেটেরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই ওষুধ ভারতে তৈরি ও বাজারে আনার জন্য সরকারি অনুমোদন পেয়েছে হেটেরো।
প্রথম পর্যায়ে কোভিফরের ২০ হাজার শিশি মহারাষ্ট্র, দিল্লি ছাড়াও পাঠানো হয়েছে গুজরাট, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায়। হায়দরাবাদের সংস্থা বলেই প্রথম পর্যায়ে যে রাজ্যগুলো কোভিফর পেয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে দেশের অন্যতম ‘করোনার হটস্পট’ তেলঙ্গানাও।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা হেটেরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ওষুধটির ১০০ মিলিগ্রামের শিশি বানানো হয়েছে। যার দাম পড়বে ৫ হাজার ৪০০ রুপি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, শিশু ও প্রবীণ কভিড রোগীদের জন্য প্রথম দিন ওই ওষুধ ২০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়াতে হবে। তার মানে, দুই শিশি। তার পর দ্বিতীয় দিন থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে রোজ ১০০ মিলিগ্রাম (একটি শিশি) করে ওষুধ খাওয়াতে হবে রোগীদের। এই নিয়ম শিশু ও প্রবীণ দু’ধরনের কভিড রোগীর ক্ষেত্রই প্রযোজ্য। ফলে মোট ৬ দিনে রোগীদের কোভিফর খাওয়াতে হবে মোট ৭০০ মিলিগ্রাম করে। ৬ দিনে ওষুধ বাবদ খরচ পড়বে ৩৭ হাজার ৮০০ রুপি।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পরবর্তী পর্যায়ে কোভিফর পাঠানো হচ্ছে কলকাতা, ইনদওর, ভোপাল, লখনউ, পটনা, ভূবনেশ্বর, রাঁচী, বিজয়ওয়াড়া, কোচি, ত্রিবান্দ্রাম ও গোয়ার মতো ১১টি শহরে।
সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভামসি কৃষ্ণ বান্দি জানিয়েছেন, ওষুধটি শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতেই পাওয়া যাবে। কোনো রিটেল স্টোরের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হবে না।
আগামী তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে কোভিফরের ১ লাখ শিশি উৎপাদন ও বাজারে আনতে চাইছে হেটেরো। এখন হায়দারবাদে বানানো হলেও কোভিফরের ঢালাও উৎপাদন বিশাখাপত্তনম থেকে করতে চাইছে বলে ওষুধ সংস্থাটি জানিয়েছে।সূত্র:আনন্দবাজার।