যে মাস্ক অনুবাদক হিসেবে কাজ করবে

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাসের থাবায় বিপর্যস্ত গোটা। এই ভাইরাসের ছোবলে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স ও ব্রাজিলের মতো দেশ। এছাড়াও বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে একযোগে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।

নতুন এই ভাইরাসের আতঙ্কে আট থেকে আশি বছর সবার মুখ ঢেকেছে মাস্কে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ এড়াতে এর কোনও বিকল্প নেই। তাই বিশ্বজুড়ে মাস্কের বাজার ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে বহু সংস্থা। শুধু ‘অদৃশ্য শক্র’-কে ঠেকানো নয়, চাহিদা বাড়াতে এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিকেও।
এমনই এক ‘স্মার্ট মাস্ক’ বানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছে জাপানি স্টার্টআপ সংস্থা ডোনাট রোবোটিক্স। সংস্থার দাবি, ইন্টারনেট ও ব্লু টুথের সঙ্গে সেটিকে যুক্ত করা যায়। মেসেজ পাঠানো, ফোন তো বটেই, এমনকি জাপানি থেকে ৮টি পৃথক ভাষায় অনুবাদ করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই ‘স্মার্ট মাস্কে’র। দাম ৪০ ডলার।

কীভাবে কাজ করবে এই মাস্ক? ডোনাট রোবোটিক্স জানিয়েছে, যেকোনও মাস্কের উপর সাদা রঙের প্লাস্টিকের ‘সি মাস্ক’ পরা যাবে। স্মার্টফোন বা ট্যাবের সঙ্গে ব্লুটুথের মাধ্যমে একে যুক্ত করা যায়। এর ফলে স্পিচ ইনটু টেক্স মেসেজ (অর্থাৎ আপনাকে মেসেজ লিখতে হবে না, কিছু বললেই এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাস্ক সেটা লিখে নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দেবে), ফোন করাসহ একাধিক পরিসেবা পাবেন ব্যবহারকারী।

শুধু তাই নয়, মুখ ঢাকা অবস্থায় গলার আওয়াজ কমে যাওয়ার মতো সমস্যার সমাধান করবে এই স্মার্ট মাস্ক। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এটি ব্যবহারকারীর কণ্ঠস্বরের জোর অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।

করোনার জেরে বেহাল আর্থিক অবস্থার মধ্যেও এই মাস্কের বাজার হাসি ফুটিয়েছে সংস্থার মুখে। সংস্থাটির চিফ এগজিকিউটিভ তাইসুকে ওনো বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি রোবট নিয়ে কাজ করছিলাম। টোকিও’র হেনেডা বিমানবন্দরের রোবট গাইড ও অনুবাদকের একটি প্রকল্পও হাতে এসেছিল। কিন্তু, করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় কোম্পানি চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল। তখন সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা এই অভিনব মাস্কের পরিকল্পনা করেন। রোবোটের জন্য যেসব প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার বেশ কিছু স্মার্ট মাস্কেও রয়েছে। চীন, আমেরিকা এবং ইউরোপে তুমুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫ হাজার সি মাস্ক বানিয়ে বিক্রি করতে চলেছে সংস্থাটি। শেয়ারের দামও দ্রুত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ওনো।

সংস্থার শেয়ার বিক্রি করে ৭ মিলিয়ন ইয়েন তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাত্র ৩৭ মিনিটের মধ্যে ২৮ মিলিয়ন ইয়েন অর্থ ঘরে তুলেছেন তারা। ব্যবসা বৃদ্ধিতে এই অঙ্ক বড় সাফল্য। সূত্র: সিনেট, হিন্দুস্তান টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *