‘মাস্ক যে কারণে অনিরাপদ হয়ে উঠতে পারে’

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে একযোগে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে শুরু করেছে। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

এমন পরিস্থিতি এই করোনাকালে বাইরে গেলে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার ও সংক্রমণের ঝুঁকি রোধ করার অনেকগুলো উপায়ের মধ্যে অন্যতম হল মাস্ক ব্যবহার করা।
তবে তীব্র গরমে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকাও বেশ কষ্টের। অনেকসময় ঘামে মাস্ক ভিজে যায় এবং পরতে অস্বস্তি হয়। তারপরও যদি আপনি এটি সঠিকভাবে না পরেন তাহলে সুরক্ষার বদলে ব্যবহৃত মাস্ক অনিরাপদ হয়ে উঠতে পারে।

আপনি যদি মাস্ক পরে ঘন ঘন কাঁশি দেন তাহলে মাস্কের কার্যকারিতা কমে যায়। কারণ কাঁশি দিলে মাস্ক ভেদ করে ড্রপলেট বাইরে বেরিয়ে যায়। এমনকি তা তিন ফুট দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। আপনি যতই ভালো মাস্ক ব্যবহার করেন না কেন কাঁশি দিলে তার কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায় এবং এর ড্রপলেট বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

সাইপ্রাসের নিকোসিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে ভালো মাস্ক পরে থাকলেও কাঁশি দিলে ড্রপলেট নির্দিষ্ট দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এটি মূলত বায়ুচাপের কারণে হয়ে থাকে। কাঁশি দিলে এই চাপ অনেকটা বৃদ্ধি পায়। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আরও বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।

তবে সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই মাস্ক করা জরুরি। আর মাস্ক পরা অবস্থায় কাঁশি দিলে একটু দূরত্ব বজায় রেখে তা দেওয়া উচিত। যাতে করে কাঁশির ড্রপলেটগুলো অন্যকে সংক্রমিত না করতে পারে। এছাড়া কেউ কাশি দিলে তার মুখে মাস্ক থাকুক বা না থাকুক পাশে থাকা লোকদের দূরে সরে যাওয়া উচিত।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাস্ক রয়েছে। যদিও এন৯৫ মাস্কে সর্বোচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও কাপড়ের তৈরি মাস্ক বা সার্জিকাল মাস্কও কাজ করে। আপনি কোন মাস্কে আরামবোধ করেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে মাস্কই পরেন না কেন তার যত্ন নেওয়া এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *