শূকর থেকে পাওয়া ভাইরাস নিয়ে অবশেষে যা বলল চীন

অনলাইন ডেস্ক : অবশেষে চীনা কর্তৃপক্ষ শূকরের দেহ থেকে মানুষে নতুন ফ্লু ভাইরাস ‘জিফোর’ ছড়াতে পারে এমন গবেষণা ফলাওভাবে প্রচারের পর মুখ খুলেছে।

শনিবার দেশটির কৃষি ও গ্রামীণ সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘জিফোর’ নামের এই ভাইরাসটি নতুন নয়। এটি মানুষ ও প্রাণীকে সহজে আক্রমণ বা অসুস্থ করে না।
গত সপ্তাহে মার্কিন সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্যা ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসে এক দল চীনা বিজ্ঞানীর লেখা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘জিফোর’ মানুষ থেকে মানুষে সহজে ছড়িয়ে পড়তে ভাইরাসটি নিজেকে পরিবর্তিত করতে পারে, যার ফলে বিশ্বজুড়ে এর প্রাদুর্ভাবও সৃষ্টি হতে পারে। শূকরের ভেতরেই ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ এবং এ প্রাণীটির মাংস ও মাংসজাত পণ্য খাতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর নজর রাখার ব্যবস্থা দ্রুত কার্যকরেরও পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গবেষকদের মতে, নতুন এ ভাইরাস মোকাবেলায় মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হয়তো খুব সামান্য নয়তো একেবারেই নেই। তারা বলেন, এখনও ‘সমস্যা’ সৃষ্টি না করলেও, মানুষকে সংক্রমিত করার ‘সব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন’ এ ভাইরাসটির দিকে ‘কড়া নজর’ রাখা উচিত।

তবে চীনের কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে চীনা গবেষকদের প্রতিবেদনটিকে সংবাদমাধ্যম অতিরঞ্জিত ও অবাস্তবভাবে উপস্থাপন করেছে।

এছাড়া গবেষণা প্রতিবেদনে যে নমুনার কথা বলা হয়েছে তা একেবারে স্বল্প সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। জিফোর ভাইরাস শুকরের দেহে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিষয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণও হাজির করা হয়নি গবেষণা প্রতিবেদনে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শূকর শিল্প ও জনস্বাস্থ্যে জিফোর ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে মন্ত্রণালয় এক সেমিনারের আয়োজন করেছিল। চীনা পশু ও অ্যান্টিভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং প্রসিডিংস অব দ্যা ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রধান লেখক সেমিনারে অংশ নিয়েছেন।

তারা জানিয়েছেন, জিফোর ভাইরাস নতুন নয়। ২০১১ সাল থেকে এ ধরনের ভাইরাসের বিস্তারের ওপর নজর রাখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীন। এই ভাইরাস মানবদেহে সংক্রমণ ঘটায় না। সূত্র: এনডিটিভি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *