একদল তরুণ জীবন নিয়ে খেলায় মেতেছে, স্বেচ্ছায় করোনা আক্রান্ত হতে পার্টির আয়োজন

অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস যে কতটা ভয়ঙ্কর তা হারে হারে টের পাচ্ছে বিশ্ববাসী। সবচেয়ে বেশি টের পাচ্ছে বিশ্ব পরাশক্তি আমেরিকা। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই দেশটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করেছে এই ভাইরাস। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৯ শতাধিক মানুষের।

কিন্তু তারপরও এই ভাইরাসকে তোয়াক্কা না করে জীবন নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছে আমেরিকার এক শ্রেণির তরুণ-তরুণী। তারা স্বেচ্ছায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য রাতভর পার্টি করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা এই তরুণেরা পেশায় শিক্ষার্থী। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তারা সবাই এখন অলস সময় পার করছে। আর এই সুযোগে জীবন নিয়ে খেলায় মেতেছেন তারা।

তারা এই পার্টির নাম দিয়েছে কোভিড-১৯ পার্টি। এতে শুধু তরুণেরা আসতে পারে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে এখানে রাতভর চলে মদ্যপান। পার্টিতে ঢোকার সময় সবাই নির্দিষ্ট অংকের ডলার একটি কৌটায় রাখে। পার্টি শেষ হওয়ার তিন দিন পর পার্টিতে উপস্থিত সকলের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হয়। যার কোভিড-১৯ পজেটিভ আসে সেই ওই ডলার পেয়ে থাকে।

বেশ কিছুদিন আগে থেকে গোপনে এই পার্টি চলছিল আলাবামার কয়েকটি শহরে। তবে সম্প্রতি তুসকালস্কা শহরের কাউন্সিলর সনিয়া ম্যাকিনিস্টির কানে এই সংবাদ যায়। প্রথমে তিনি অবিশ্বাস করলেও খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন শহরের ফায়ার ব্রিগেড প্রধানকে। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট খোঁজ নিয়ে কাউন্সিলরকে ঘটনার সত্যতা জানান। শুনে অবাক হন কাউন্সিলর।

গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর এতটাই অবাক হয়েছি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। যেখানে গোটা দেশের লাখ লাখ মানুষ এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন মারা যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ সেখানে এক শ্রেণির শিক্ষিত সচেতন মানুষ এই কাজ করবে তা ভাবতেই পারি না। আমি চেষ্টা করছি এই পার্টি বন্ধ করার। ঠিক কতজন এই পার্টি থেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাও খুঁজে বের করতে পুলিশকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছি।

এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শহরজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। কথায় বলে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের বাসা। কিন্তু তা যে এতটাই ক্ষতিকর কাজে নিয়োজিত হবে তা ভাবাই দুষ্কর। সূত্র: টাইম, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, এবিসি নিউজ, গ্লোবাল নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *