অনলাইন ডেস্ক: অনেক খাবার রান্না করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ওই খাবারগুলো কাঁচা খাওয়াটাই স্বাস্থ্যকর। তবে কিছু খাবার কাঁচা খেলে স্বাস্থ্যের নানা ধরনের ক্ষতি থাকতে পারে। যেমন অ্যাসিডিটি, বদহজম, পেট খারাপসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তাই এসব খাবার কাঁচা খাওয়া ঠিক নয়।
দুধ : কাঁচা দুধ পাস্তুরিত হয় না। পাস্তুরায়ন প্রক্রিয়ায় দুধকে ১৫ সেকেন্ডেরও কম সময় ধরে ১৬১ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় নিয়ে তারপর দ্রুত ঠাণ্ডা করে ফেলা হয়। ফলে কাঁচা দুধে স্যালমোনেলা, ই. কোলি, লিস্টিরিয়া ইত্যাদি যেসব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে, তার সবই মারা পড়ে। তাই পাস্তুরিত না হওয়া দুধ খাওয়া ঠিক না।
আলু : পুষ্টিবিদদের মতে, আলু থেকে যদি সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে চান, তবে সেটা বেক বা ভাপিয়ে খান। আর সবুজ আলু থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। এতে সোলানাইন নামের এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থাকে, যার সামান্য পেটে গেলেও তা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানোর কারণ হতে পারে।
স্প্রাউট : সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে স্প্রাউটের জুড়ি নেই। কিন্তু কাঁচা অবস্থায় স্প্রাউট হচ্ছে স্যালমোনেলা, ই. কোলি, লিস্টিরিয়া ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়ার আড্ডাখানা। তাই বাজার থেকে স্প্রাউট কিনে খুব ভালো করে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর ছোট শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী, বয়স্ক লোকজন এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের জন্য স্প্রাউট এড়িয়ে চলাই ভালো।
লাল কিডনি বিন : শিমের বিচি ধরনের এ খাবারগুলো আপনার রোজকার খাবার তালিকায় পুষ্টির মাত্রাটা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তবে কাঁচা কিডনি বিন খেলে মাথাঘোরা, বমি এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই লাল কিডনি বিন কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নতুন করে পানি নিয়ে আধা ঘণ্টামতো বিনগুলো সিদ্ধ করুন। এবার আপনার কিডনি বিন খাবার জন্য তৈরি হয়ে গেল।
মধু : চাকভাঙা মধুর স্বাদ পেতে আগ্রহী থাকেন অনেকেই। তবে পাস্তুরিত না হওয়া কাঁচা মধুতে গ্রায়ানোটক্সিন বলে এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান থাকে। যদিও এ উপাদান প্রাণঘাতী নয়, তবু এর প্রভাবে মাথা ঝিম-ঝিম, রক্তের নিম্নচাপ এবং স্নায়বিক বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই বিশেষ করে শিশুদের কখনই কাঁচা মধু খাওয়াবেন না।
এ ছাড়া ফুলকপি, ব্রোকলি, বাঁধাকপি জাতীয় সবজিতে সহজে হজম হয় না। তাই এগুলো কাঁচা খেয়ে হজম করা সবার পক্ষে সম্ভব না। ফলে এ ধরনের সবজি রান্না করে খান।