করোনাভাইরাস এসি থেকেও ছড়ায়, বাঁচার উপায় জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক : কিছু দিন আগে বিশ্বের ৩২ দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী চ্যালেঞ্জের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কার্যত মেনে নিতে বাধ্য হয় যে, করোনাভাইরাস বাতাসেও উপস্থিত থাকতে পারে। এবারে কিছু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, যদি কোনো এলাকায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা থাকে, তবে তারা যেন বাড়ির এসি বন্ধ করে দেন। নইলে সামাজিক দূরত্ব মানার পরেও সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

ব্রিটিশ টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক্টিব রিপোর্ট অনুসারে এয়ার কন্ডিশনার দুই ধরণের রয়েছে। একটি হল বাইরের বাতাসকে ভেতরে টেনে আনে ও অপরটি ঘরের বাতাসকেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঠান্ডা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে সকলে যেন এসি বন্ধ করে দেন বা জানালা খুলে দেন।

লন্ডনের চার্টার্ড ইনস্টিটিউশন অফ বিল্ডিং সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার্স জানাচ্ছে, বাইরের বাতাস ব্যবহার করে না এমন এসিও ঘরের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই যে সব রেস্তরাঁয় এসি আছে, সেসব জায়গায় এখন যাওয়া মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ড. শন ফিটজগারেল্ড বলেছেন, সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এসি চালু রাখার সময় জানালা খোলা রাখা একটা ভালো পদ্ধতি হতে পারে।

এপ্রিলে গবেষকরা বলেছিলেন, চীনের গুয়ানজহোরে একটি রেস্তোঁরায় খাবার খেতে গিয়ে কমপক্ষে ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। এর জন্য ওই রেস্তরাঁর এসির হাত থাকতে পারে বলে মনে করা হয়।

তবে গবেষকরা এও বলেছেন যে, করোনার ভাইরাস অল্প সময়ের জন্য বাতাসে ভেসে থাকতে পারে এবং কেবলমাত্র অল্প দূরত্বেই যেতে পারে। যদিও আগে ডব্লিউএইচও এই তথ্য মানতে নারাজ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত চিঠিতে নিজের সিদ্ধান্ত বদলায় ডব্লিউএইচও।সূত্র: কলকাতা ২৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *