তামীম আদনান, কুষ্টিয়া : পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকেই কুষ্টিয়া জেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার শেষ রাতে শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর কিছু সময় থামার পর আবারও দুপুর গড়ীয়ে বৃষ্টি শুরু হয়।
বৃষ্টি আর বিদ্যুৎ চমকানোতে কেঁপে ওঠে কুষ্টিয়ার আকাশ।তবে বৃষ্টি কিছুটা বিড়ম্বনার সৃষ্টি করলেও শীতের রুক্ষতা আর পরিবেশের ধুলাবালি ধুয়ে মুছে নিয়ে গেছে সজল বৃষ্টির বারি ধারা। এই প্রতিবেদন লেখা পযন্ত কুষ্টিয়ায় বৃষ্টি না থাকলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তায় বের হওয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। এছাড়া যত্রতত্র উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা কেটে রাখায় ভোগান্তি আরো বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী শুক্রবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। দুপুর গড়ীয়ে বিকেলের আগমুহুতে বৃষ্টি হওয়ায় কর্ম স্থল থেকে বাসাগামী মানুষ বাস বা অটোরিকশার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর কেউ কেউ গাড়িতে উঠতে পারলেও বাকিরা উপায় না দেখে হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওায়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা (২-৪) ডিগ্রি সে. হ্রাস পেতে পারে।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। এছাড়া বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।