অনলাইন ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারিতে মানুষের নিত্যদিনের জীবন হিমশিম খেলেও বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ব্যবসা রমরমা। সিগারেট বিক্রি ও মুনাফা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আয় বৃদ্ধির বিষয়ে কম্পানি বলছে, বিক্রি আগের বছর চেয়ে বেশি হওয়ায় মুনাফাও বেড়েছে। আর সুদ ব্যয় কমানোর কারণেও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।
কম্পানিটির ছয় মাসের আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণে এই তথ্য জানা গেছে। ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর বেনশন, জন পলিমার গোল্ড লিফ, জন পলিমার সিরিজ, ক্যাপসটান, স্টার, রয়্যালস, ডার্বি ও হলিউড সিগারেট রয়েছে।
ছয় মাসে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর সিগারেট বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৮৬০ কোটি স্টিক। আগের বছর একই সময়ে এই সিগারেট বিক্রি ছিল দুই হাজার ৬১৬ কোটি স্টিক। সেই হিসাবে সিগারেট বিক্রি বেড়েছে ২৪৪ কোটি স্টিক।
এই হিসাবে দেখা যায়, প্রতি মাসে সিগারেট বিক্রি হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬টি। আর মাসে ৩০ দিন ধরে গড়ে প্রতিদিন সিগারেট বিক্রি হয়েছে ১৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৮টি। কেবল সিগারেট বিক্রিই নয়, আয়ের ক্ষেত্রেও বড় উল্লম্ফন হয়েছে।
ছয়মাসে ব্রিটিশ আমেরিক্যান ট্যোবাকোর মোট আয় ১৪ হাজার ৮১৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। কর প্রদানের পর মুনাফা হয়েছে ৬০০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের বছর মোট আয় ছিল ১৩ হাজার ৪২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর মুনাফা হয়েছিল ৩৮০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মুনাফা বেড়েছে ২১৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার প্রতি আয় দাঁড়ায় ৩৩.৩৫ টাকা, যা ২০১৯ সালে ছিল ২১.১৭ টাকা।
কম্পানিটির আর্থিক হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর মুনাফা ২৯৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আর শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ১৬.৪৮ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ১৭৫ কোটি ৬ লাখ টাকা আর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৯.৭৩ টাকা।
মুনাফার পাশাপাশি কম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্যও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। চলতি বছরের জুন শেষে কম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯২ টাকা ২০ পয়সা, যা ২০১৯ সাল জুন শেষে ছিল ১৮০ টাকা ৭০ পয়সা।