ঈদের নামাজ নিকটস্থ মসজিদে, কোলাকুলি পরিহারের আহ্বান : ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়

অনলাইন ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ১ আগস্ট সারা দেশে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। করোনায় মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবারের পবিত্র ঈদুল আজহার জামায়াত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক ঈদের জামায়াত আদায় করা যাবে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে ঈদ জামায়াত মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ঈদুল ফিতরের জামায়াত ঈদগাহে আদায় না করে মসজিদে আদায় করা হয়েছিল।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। প্রত্যেকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসবেন এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। জামায়াতে আসা মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করতে পারবেন না মুসল্লিরা।

ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করবেন না বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে মুসল্লিদের।

করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ছয়টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব জামাত আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর এখানে পর্যায়ক্রমে আরো পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সর্বশেষ জামায়াত সকাল ১১টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *