Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

‘রাত অ্যাকেলি হ্যায় ছবিতে রহস্য উন্মোচনে পুলিশ নওয়াজউদ্দিন’

অনলাইন ডেস্ক : দুর্দান্ত চমক আর হাড়হিম করা ঘটনায় টান টান উত্তেজনা। আলো আধারি দৃশ্যে প্রথমেই জোড়া খুন। তারপর সেই মরদেহ আগুনে নয় পোড়ানো হলো খুব সম্ভবত সালফার ডাই অক্সাইডে। খুনিও আহত হয় তাতে। তারপর দৌড়ে গিয়ে পড়ে পানিতে। তার চিৎকার যেন সব শোককেই ছড়িয়ে যায়! এখান থেকেই শুরু সিনেমা। এরপর টাইম লিপ। এন্ট্রি জটিল যাদব ওরফে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর। ছবিটিতে চার খুনের তদন্তে চ্যালেঞ্জিং পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকায় দেখা গেছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে।

নতুনত্ব ভরপুর কোনো থ্রিলার মুভির সন্ধানে যারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন, তাদের জন্য এই মুভিটি একদম ‘সোনায় সোহাগা’। বিয়ের ফুলসজ্যার রাতে বর খুন। ইনি ছিলেন প্রভাবশালী মন্ত্রী। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী (রাধিকা আপ্তে) ফুলশয্যার রাতেই বিধবা হন। তদন্ত, জেরা, জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন জটিল যাদব। বড় রাজপ্রাসাদে, ক্ষমতা দখলের লড়াই, মন্ত্রীরাজ, কমবয়সি স্ত্রী..রহস্যে মোড়া টানটান উৎকন্ঠা নিয়ে এগোতে থাকে কাহিনি।

মন ছুঁয়ে যাওয়া এই গল্পে প্রথম থেকেই রাধিকা আপ্তের মধ্যে একটা রাগী মেজাজের প্রকাশ দেখা যায়। যা রহস্যকে তরান্বিত করতে থাকে। জানা যায় বিয়ের আগেই থেকেই তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল মন্ত্রীর। চলত শারীরিক নির্যাতনও। তাহলে দোষী কি রাধিকা আপ্তে? কিন্তু রাধিকার স্পষ্ট জবাব গল্পের মোড় ঘোরাতে থাকে। মৃতের ভাইপোর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তার। যিনি পরিবারের সম্পত্তি, ব্যবসা সামলাতেন। তাহলে খুনি কে?

পাঁচ বছর আগের জোড়া খুনের সঙ্গে যোগ সূত্র খুঁজতে থাকেন জটিল যাদব। এর মধ্যে চলে আসে রাজনৈতিক চাপ। একের পর এক রাঘব বোয়ালদের সঙ্গে লড়তে থাকেন তিনি। পরিবারের সদস্যদেরও এক একটি ভিন চরিত্রে দেখা গিয়েছে ছবিতে। তাদেরকে জেরা করা হয়। উল্লেখ্য, মৃতের ঘরে ও বিবিধ জায়গায় মহিলাদের নগ্ন শরীরের ছবি দেখা যায়। সেখান থেকে জোড়াল হতে থাকে পুলিশের সন্দেহ। আর সেই সন্দেহ আপনারও হাড়হিম হওয়ার জোগাড় হবে।

এমন হাড়হিম করা এই ছবিটি যদি আপনি এখনো না দেখে থাকেন; তাহলে নেট ফ্লিক্সে গিয়ে দেখে নিন। হানি তেহেরানের পরিচালনায় আলো আঁধারি দৃশ্যে রহস্যময় গল্প মন্দ লাগবে না। কারণ রহস্য উদঘাটনের পর চমকে ওঠবেন আপনি।সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

Exit mobile version