‘দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : প্রধান বিচারপতি’

অনলাইন ডেস্ক : তামাদি বিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় একজন কর্মকর্তাকে (স্ট্যাম্প রিপোর্টার) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আইনজীবী নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের অপরাপর বিচারপতিদের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এই বৈঠকে প্রধান বিচারপতি দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এ বৈঠকে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তা দেওয়ার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, ‘ঢালাও নয়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিন। দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এজন্য বার ও বেঞ্চকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

জানা যায়, গত ৬ আগস্ট আপিল বিভাগ এক আদেশে তামাদি বিষয়ে ৩১আগস্ট পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেন। এই আদেশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল তার সহকারী নার্গিস বেগমকে একটি মামলা দিয়ে পাঠান স্ট্যাম্প রিপোর্টার মো. মোনায়েম চৌধুরীর কাছে।

অ্যাডভোকেট ফয়সাল বলেন, কিন্তু বিষয়টি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান সুপ্রিম কোর্টের এই কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তার বক্তব্য হলো, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে তারা কোনো নির্দেশনা পাননি। তাই মামলাটি গ্রহণ করা যাবে না। এই প্রেক্ষাপটে ওই আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানান এবং প্রধান বিচারপতির নজরে আনার জন্য বলেন। এই প্রেক্ষাপটে শনিবার বিকেল চারটায় প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির সঙ্গে আইনজীবী সমিতির বৈঠককালে ওই আইনজীবীর অভিযোগ উত্থাপন করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। সমিতির ১৪ সদস্যের কমিটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে মিলিত হন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে।

এই বৈঠকে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বৈঠকে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হলে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন খোঁজ-খবর নেয় এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে ওই কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *