কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ‘ফিরে চল মাটির টানে’ স্লোগানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় ৬ রাতব্যাপী যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান দিশা কমপ্লেক্স চত্বরে এ উৎসবের উদ্বোধন হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করে। উৎসব চলবে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান।
এসময় তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের মুলেই ছিলো যাত্রাপালা। বর্তমানে আর সেই যাত্রাপালা নেই। গ্রাম বাংলার বাস্তব চিত্র নিয়ে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হতো।
তিনি আরও বলেন, যাত্রা হচ্ছে আমাদের লোকসংস্কৃতির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী শিল্পমাধ্যম এবং এটা লোক শিক্ষারও বাহন। জেলা শিল্পকলা যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পধারাটি বাঁচবে, অশ্লীলতার হাত থেকে আমাদের সংস্কৃতি রক্ষা পাবে।
ক্ষয়িষ্ণু সমাজকে কলুষিতমুক্ত করতে যাত্রাপালার কোন বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক মোঃ আমিরুল ইসলাম।
এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরানী ফেরদৌস দিশা, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জামাল আহম্মেদ, মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম,দিশার নির্বাহী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম, বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন কালচারাল অফিসার সুজন রহমান। উৎসবের ৬ রাতে ৬টি যাত্রাপালা মঞ্চস্থ হবে। শুক্রবার প্রথম রজনীতে মঞ্চস্থ হয় ‘মা মাটি ও মানুষ’।
আয়োজনকারী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, অশ্লীল নৃত্য আর অসাধু ব্যবসায়িক চিন্তার প্রতিফলনে সভ্য সমাজের রুচিশীল মানুষকে যাত্রামুখী করতে এবং অপসংসস্কৃতির করালগ্রাসে বিলুপ্তপ্রায় যাত্রাশিল্পকে ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচাতেই এমন উদ্যোগ।
দিশার নির্বাহী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, যাত্রার এই সমৃদ্ধিকে ধরে রাখার জন্য আমরা এই আয়োজনটি করেছি। যাত্রা বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে এবং এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে সবাইকে স্বোচ্চার হতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের উত্তোরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।