অনলাইন ডেস্ক : নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে অনেকেই ডেন্টাল ফ্লস বা মাউথওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মাউথওয়াশ কেবল মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেই নয়, প্রাথমিক পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম বলে দাবি করছেন একদল বিজ্ঞানী। খবর জিনিউজের।
সম্প্রতি অক্সফোর্ড প্রেস থেকে প্রকাশিত মার্কিন পত্রিকা ‘দি জার্নাল অব ইনফেক্সাস ডিজিজ’-এর একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, নিত্য ব্যবহারের মাউথওয়াশ মুখ ও গলায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, ওই সংক্রমিত অংশের ‘ভাইরাল লোড’ কমাতেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। দীর্ঘ গবেষণায় করোনা আক্রান্ত রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীদের দাবি, মুখের লালারস বা দাঁতের ফাঁকে বেড়ে ওঠা ভাইরাস কণার বিস্তার ও সংক্রমণকে সফলভাবে ঠেকাতে পারে মাউথওয়াশ।
মাস খানেক আগে ‘ফাংশন’ নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কোরিয়া ইউনিভার্সিটি কলেজ অব মেডিসিন-এর একদল গবেষকও এমনটাই দাবি করেছিলেন।
কোরিয়ার গবেষকরা জানান, সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে করোনাভাইরাস লালারসের মাধ্যমে গলা এবং স্যালাইভারি গ্ল্যান্ডে ছড়াতে শুরু করে। ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে তার বাইরের স্তর বা লিপিড মেমব্রেনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, মাউথওয়াশে থাকা রাসায়নিক উপাদান করোনাভাইরাসের এই লিপিড মেমব্রেনকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
তারা জানান, বিশেষত ক্লোরহ্যাক্সিডিন মাউথওয়াশে থাকা উপাদান পোভিডোন-আয়োডিন, ইথানল এবং সেটিলপাইরিডিনিয়ামের মতো উপাদানগুলো লালারসের সঙ্গে মিশে থাকা ভাইরাসের কণা ও তার লিপিড মেমব্রেনকে নষ্ট করে দিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
এ বিষয়ে কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভ্যালেরি ও ডোনেল জানান, কিছু মাউথওয়াশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘ভাইরোসিডাল’ উপকরণ (যে রাসায়নিক উপাদানগুলো ভাইরাস কণাকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম) থাকে যা সহজেই ভাইরাসের লিপিড মেমব্রেনকে নষ্ট করতে পারে। ফলে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পাশাপাশি মাউথওয়াশের ব্যবহার করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে।