অনলাইন ডেস্ক : করোনা মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে বিমান সংস্থাগুলো অস্তিত্বসংকটের মুখে পড়েছে। আকাশপথে সীমিত পরিসরে যাত্রী পরিবহন হলেও কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাচ্ছে না এয়ারলাইনসগুলো। এই সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেই আজ রবিবার থেকে বাড়ছে বিদেশযাত্রার খরচ। দেশ-বিদেশে কোথাও গেলেই যাত্রীদের গুনতে হবে বিমানবন্দর নিরাপত্তা ও উন্নয়ন ফি।
গত মাসে এসংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আজ থেকে বিমানবন্দর ব্যবহার করে প্লেনে কোথাও গেলেই বাড়তি ফি গুণতে হবে যাত্রীদের। প্লেনের টিকিটের সঙ্গে এ ফি কেটে নেওয়া হবে। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং চার্জ বাড়াতে চাচ্ছে। বেবিচকের নির্দেশনা অনুযায়ী, যারা ১৬ আগস্টের টিকিট এরই মধ্যে কেটেছেন, তাঁদের বর্ধিত ফি পরিশোধ করতে হয়েছে। রবিবার থেকে ভ্রমণ করলে বর্ধিত ফি নেবে সব এয়ারলাইনস।
বেবিচক বলছে, সার্কভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে যাত্রীপ্রতি ৫ ডলার বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ও ৬ ডলার যাত্রী নিরাপত্তা ফিসহ মোট ১১ ডলার আরোপ করেছে। সার্কভুক্ত দেশগুলো ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি ১০ ডলার এবং নিরাপত্তা ফি ১০ ডলারসহ মোট ২০ ডলার গুনতে হবে। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারীদের প্রতি টিকিটের জন্য উন্নয়ন ফি দিতে হবে ১০০ টাকা ও নিরাপত্তা ফি ৭০ টাকা। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের খরচ বাড়ল ১৭০ টাকা।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ‘বিমানবন্দরে যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর জন্যই মূলত এ ফি আরোপ করা হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে বিমানবন্দরের উন্নয়ন করা হবে।’
করোনাভাইরাসের মধ্যে এই বাড়তি ফি প্লেন ভ্রমণে যাত্রীদের কিছুটা হলেও নিরুৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন এয়ারলাইনস সংশ্লিষ্টরা। জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনার কারণে বিমান সংস্থাগুলো যাত্রীসংকটে ভুগছে। সংকটের সময় এটি কার্যকর করায় আমাদের সবার জন্য বাড়তি চাপ তৈরি হলো।’