করোনাভাইরাস ঠেকাতে পারে বিশেষ থেরাপি

অনলাইন ডেস্ক : সারা বিশ্ব প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলছে। অদৃশ্য এই শক্রর মোকাবিলা করতে প্রতিষেধক আবিষ্কারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সবাই। এরই মধ্যে করোনার ৫০০ টিরও বেশি ক্লিনিকাল ট্রায়াল নিয়ে কাজ চলছে।

তবে এবার করোনার এক কার্যকরী চিকিৎসার কথা বলছে বিজ্ঞানীরা। মেডিসিনাল সিগন্যালিং সেল (এমএসসিএস) থেরাপি ব্যবহার করে করোনা প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছে গবেষকরা। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছেন কেভিন কিমবারলিন। এরই মধ্যে দুইটি গবেষণায় এই থেরাপির কার্যকারিতা প্রমাণ পাওয়া গেছে।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এই সেলগুলো মৃতের হার অনেকাংশে কমায়। বিশেষ করে খুব অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে।

কেভিন কিমবারলিন জানান, এই সেল ভাইরাসকে নির্মূল করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে মেরামত করে।একই সাথে এতগুলো কাজ করার ক্ষমতা করোনার অন্য কোনো ওষুধে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। জীবন বাঁচাতে অপূরণীয় ভূমিকা রাখছে এই থেরাপি।

দুইটি গবেষণায় ২৫ জন গুরুতর অসুস্থ রোগীর উপর থেরাপিটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে করে ১২ জনের ১০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং দ্বিতীয় গবেষণায় ১৩ জনের ১১ জন সুস্থ হয়েছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই থেরাপিটি মিরাকেল হতে পারে করোনা চিকিৎসায়। যে এমএসসিএস টি কোষের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং প্রদাহ হ্রাস করে। বুকের এক্সেরে করেই বোঝা যায় এর কার্যকারিতা। মাঝে মাঝে থেরাপির শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পরেও থাকে।

মেসোব্লাস্ট স্টাডিতেও সফলতার সাথে কাজ করেছিল এমএসসিএস। তবে যদি স্টেরয়েডগুলো প্রদাহ বন্ধ না করে, তবে শতকরা ৮০ ভাগ আক্রান্ত শিশু মারা যায়। তবে এমএসসিএসের একটি ট্রায়ালে স্টেরয়েডগুলোতে সাড়া না দেওয়ায় ২৩৯ রোগীর মধ্যে ১৬০ জন বেঁচে ছিলেন। তাদের টিস্যুও স্বাভাবিক হয়েছে।

মে মাসের ট্রায়ালের ফল সেপ্টেম্বরের শেষেই পাওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই চিকিৎসার জন্য কত খরচ পড়বে তা এখনো স্পষ্ট না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *