কুষ্টিয়ায় ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও খুনি বিএনপি জামাত জঙ্গী চক্রের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা ও ২১ আগস্টে যারা নিহত হয়েছে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী’র পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্যে রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, সাবেক সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিন্টু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাবু স্বপন কুমার ঘোষ। কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তাইজাল আলী খাঁন, সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। এছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা খন্দকার ইকবাল মাহমুদ, নাসির উদ্দীন, হাজী তরিকুল ইসলাম মানিক, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. শরিফ উদ্দিন রিমন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেবুন নিছা সবুজ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সামস তানিম মুক্তি সহ আওয়ামী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন বলেন, ১৬ বছর আগে আজকের এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেডের বিকট বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মানুষের আর্তনাদ আর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকা। গোটা দেশ স্তবদ্ধ হয়ে পড়ে ওই হামলায়। আজ সেই ২১ আগস্ট, নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল দিন। তিনি বলেন, ২০০৪ সালের এই দিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে অতর্কিতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। নিহত হন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী। এতে সাংবাদিকেরাও আহত হন। আজগর আলী বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালরাতের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা। আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে সংগঠনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের প্রথম সারির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই ওই ঘৃণ্য হামলা চালায় ঘাতক চক্র। শুধু গ্রেনেড হামলাই নয়, সেদিন শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করেও চালানো হয় ছয় রাউন্ড গুলি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও সেদিন তিনি আহত হন।
হাজী রবিউল ইসলাম বলেন, আজ সেই ভয়াল ২১ শে আগষ্ট ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর সামনে চলা সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যা করতে চেয়েছিল। ২১শে আগষ্টের ভয়াল থাবায় জীবনদানকারী আইভী রহমানসহ নিহত সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের আরো একটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের নাম বিভীষিকাময় ২১ শে আগষ্ট।
সেদিন রক্তগঙ্গায় ভেসেছিলো বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কালো রাজপথ, আর্তনাদ আর আহাজারিতে স্তব্ধ হয়েছিলো পুরো বাংলাদেশ । জীবনের বিনিময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগলে রেখেছিলেন আত্মত্যাগকারী অকুতোভয় নেতা-কর্মীরা। এতে জীবন হারিয়েছিলো কুষ্টিয়া খোকসার কৃতি সন্তান মাহাবুবুর রহমান। ভয়াল ২১ শে আগষ্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা। আলোচনায় অন্যান্য বক্তারাও ২১ আগস্টের কথা তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *