Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে ভ্যান চালক হত্যার ৬ ঘন্টায় রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিটন গ্রামে ভ্যান চালক বশির উদ্দিন হত্যার ৬ ঘন্টার মধ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যায় অভিযুক্ত আসামী রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩ টার দিকে কুমারখালীর সাঁওতা উত্তরপাড়া শ্বশুর বাড়ী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার বেলা ১২ টায় পুলিশ লাইনে এক প্রেস বিফিং পুলিশ জানায় জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রঞ্জু হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

রঞ্জু পূর্বের বিরোধে রঞ্জু বশির উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বশির উদ্দিনের ভ্যানকে সারাদিনের জন্য ভাড়া করেন। সারাদিন ভ্যান যেখানে সেখানে ঘুরে সন্ধ্যায় মিটন চর গোপালপুরের নির্জন ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। হত্যার পরে বশির উদ্দিনের ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায় রঞ্জু। পুলিশ রঞ্জুর শ^শুর বাড়ী থেকে বশির উদ্দিনের ভ্যান উদ্ধার করেছে।
কুষ্টিয়ার মিটন চরগোপালপুরে ভ্যান চালক বশির উদ্দিনের হত্যা মামলার রহস্য ছয় ঘন্টায় উদঘাটন করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার উত্তর পার সাঁওতাপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন ছোট মনির ছেলে বশির উদ্দিন (৫৫) গত ২৪ আগষ্ট সন্ধ্যার পর থেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কোথাও না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মিটন চরগোপালপুর মাঠের ধান ক্ষেতের মধ্যে থাকা একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। পরে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষত জনিত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে।

এসময় মরদেহটি বশির উদ্দিনের বলে নিশ্চিত করেন তার পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে ১ জনকে আটক করেন। আটকৃত হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মেটন গ্রামের মৃত সালামত মন্ডলের ছেলে রঞ্জুু (৩০) । আটককৃত নিহত বশির উদ্দিনের একই গ্রামের প্রতিবেশী।
জেলা পুলিশ সুপার এস.এম তানভীর আরাফাত জানান, ভ্যান চালক বশির উদ্দিন হত্যা মামলার রহস্য ৬ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করা হয়েছে। আটককৃত ১ জনই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

জবানবন্দিতে তারা বলেন, পুর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে নিহত বশির উদ্দিনকে সারাদিন ভ্যানে রিজার্ভের কথা বলে নিয়ে যায় এবং সন্ধ্যা হলে বশিরের পিছন থেকে ইট দিয়ে আঘাতের ফলে তার মৃত্যু হয়। হত্যা করার পর তাকে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায় রঞ্জু।

Exit mobile version