পুতিন কন্যার দেহে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি

অনলাইন ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে যখন দিশেহারা গোটা বিশ্ব তখন টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দেয় রাশিয়া। অনেকেই তড়িঘড়ি তৈরি এই টিকা নিয়ে নানা মতামত ব্যক্ত করলেও এর কার্যকারিতা নিয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।

মানব ট্রায়ালে পুতিনের কন্যা ইয়েক্যাতেরিনার শরীরেও দেওয়া হয় এই টাকা। এবার আসল সুখবর। করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ওই টিকা নিয়ে সুস্থ আছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কন্যা। তার দেহে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি।
রাশিয়া ২৪ সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন পুতিন নিজেই।খবর স্পুৎনিক নিউজের।

পুতিন জানান, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে রাশিয়ার তৈরি আরেকটি টিকা তৈরি হচ্ছে। সেপ্টেম্বর মাসে সেটি প্রস্তুত হয়ে যাবে।

রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, স্পুৎনিক-৫ হল বিশ্বে প্রথম করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকা। গত ১১ আগস্ট এই টিকা আবিষ্কারের ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর তার মেয়ের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগের কথাও জানান তিনি।

বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক তৈরি করেছিল পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই ঘটনাকে স্মরণে রেখে মারণ জীবাণু করোনার প্রতিরোধক টিকার নাম রাখা হয়েছে স্পুৎনিক।

প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছেন, এই টিকা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করছে সেটা আমাদের দেশের বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত স্পষ্ট। এর মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা আমার মেয়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। এটি ক্ষতিকর নয়। আমার মেয়ে ভালো আছে।

তিনি জানান, টিকা গ্রহণের প্রথম দিন মেয়ের শরীরে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠেছিল। দ্বিতীয় দিন তাপমাত্রা হয় ৩৭ ডিগ্রির কিছু বেশি। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার ২১ দিন ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *