Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

মমতাকে : প্রতিরক্ষামন্ত্রী আপনি কি পাকিস্তানের কণ্ঠ ?

Indian Minister of Commerce and Industry, Nirmala Sitharaman speaks during a joint press interaction btween US Secretary of State, John Kerry and Indian Minister of External Affairs, Sushma Swaraj after a meeting in New Delhi on August 30, 2016. / AFP / PRAKASH SINGH (Photo credit should read PRAKASH SINGH/AFP/Getty Images)

অনলাইন ডেস্ক: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাক জঙ্গিদের বিএসএফের গাড়িবহরে হামলায় ৪০ বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর খেপে আছে ভারত। এরই জবাব দিতে ভারতের বিমানবাহিনী গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য হামলা চালায়। এই হামলার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন তোলেন পাক জঙ্গিদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েও।

এর জবাবে গতকাল রোববার কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ওই অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বালাকোটে পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য জরুরি ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার উগ্রপন্থাকে নির্মূল করতে বিমান হানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।’ এরপরেই তিনি মমতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন, ‘যেখানে দেশাত্মবোধ উদ্বুদ্ধ হয়ে এ কাজে সমর্থন করা দরকার, সেখানে আপনি প্রমাণ চাইছেন? আপনি কার পক্ষে? দেশের পক্ষে নাকি পাকিস্তানের পক্ষে? আপনি কি পাকিস্তানের কণ্ঠস্বর? ’

প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাত্র একজন বৈমানিককে আইন মেনে ওরা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অথচ আমাদের এখানের কেউ কেউ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্য ধন্য করছেন। আর পাকিস্তানের টেলিভিশনে আমাদের এসব নেতার বক্তব্য বারবার প্রচার করছে। পাকিস্তানের টিআরপি বাড়াতে আসরে নেমেছে।’ তিনি বলেন, ‘মুম্বাইয়ে ২৬/১১ হামলার পর তৎকালীন মনমোহন সিংয়ের সরকার এয়ার স্ট্রাইক করার হিম্মত দেখাতে পারেনি। কিন্তু মোদিজি সেই সাহস দেখিয়েছেন। কত দিন আমরা চুপ করে থাকব?’

নির্মলা সীতারামন পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকারকে বামফ্রন্ট সরকারের ‘ক্লোন’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এ কোন বাংলা? এই বাংলা কি বন্দে মাতরমের? আন্দামানের সেলুলর জেলে গিয়ে দেখেছি প্রত্যেকটা সেলে কোনো না কোনো বাঙালি বিপ্লবী ছিলেন। ৩৪ বছর বামফ্রন্টের শাসনের পর মানুষ পরিবর্তন চেয়েছিল। কিন্তু এ কি সেই পরিবর্তন? যেখানে মানুষ সন্ত্রাসের আবহে ভোট দিতে পারেন না। প্রার্থী নিজের মনোনয়ন জমা দিতে পারেন না!’

সীতারমন মমতার উদ্দেশে আরও বলেছেন, ‘আপনি দুর্গার মতো একসময় বাম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। আপনি যে সন্ত্রাসের অত্যাচার সহ্য করেছিলেন, ক্ষমতায় এসে সেই অত্যাচার-সন্ত্রাস আপনিও করছেন।’ তিনি বলেন, ‘বাংলায় অবশ্যই বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। আমরা এই লক্ষ্যের লড়াইয়ে পাশে আছি।’

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এসব মন্তব্যের পর তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলোচনার বিষয়বস্তুতে না গিয়ে কেবল তৃণমূলের নিন্দায় সময় ব্যয় করেছেন। অথচ দেশের নিরাপত্তা, অর্থনীতি আজ বিপন্ন। ওদের হাতে সীমান্ত সুরক্ষিত নয়। ফলে আসল আলোচনায় না গিয়ে নির্বাচনী প্রচারই করেছেন। ওরা এখন সমাজকে দ্বিখণ্ডিত করার রাজনীতি করছে। বাংলার মানুষ এবার এর জবাব দেবে ব্যালটে। ’

Exit mobile version