কুষ্টিয়ার মোকামে চালের দাম বাড়ছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : দেশের অন্যতম বৃহৎ চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে চালের দাম। কুরবানীর ঈদের পর থেকে চালের দামের ঊর্ধ্বগতি যেন থামছেই না। সর্বশেষ গত এক সপ্তাহে মিলগেটে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে বাজার সমন্বয় করা হয়েছে বলে দাবি মিলারদের।
খাজানগরের এই মোকাম দেশের চালের চাহিদার একটি বড় অংশ পুরণ করে। ফলে এখানে চালের টানা দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে সারাদেশের চালের বাজারে।

জানা যায়, বর্তমানে মিল গেটেই কেজি প্রতি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। যা আগেও ছিল ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা। অন্যদিকে মিনিকেট, আঠাশ, পায়জাম, কাজললতা ও বাসমতি চালের দামও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। মিলগেটে আঠাশ ও কাজললতা চাল প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাসমতি প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, আর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায়। মিল মালিকরাও স্বীকারও বলছেন সব ধরণের চাল ২ থেকে ৩ টাকারও বেশি বেড়েছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা আরও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
জানা যায়, ঈদের পর একদফা দাম বেড়ে বাজার স্থিতিশীল ছিল। গত এক সপ্তাহ আগে মিল গেটে ফের চালের দাম বেড়েছে। ধানের দাম এখন ১ হাজার ১০০ থেকে টাকা ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেরা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন দাবি, চালের বাজার বাড়ার ব্যাপারে তাদের কোন দায় নেই। ধানের দামের ওপর চালের বাজার নির্ভর করে। বোরো মৌসুমের শুরুতে ধানের দাম কম ছিল। কিন্তু এখন বাজারে ধানের দাম চড়া। তাই ধানের দামের সঙ্গে সমন্বয় করেই চালের দাম নির্ধারণ করতে হাচ্ছে। এতে চালের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।

খাজানগরের রশিদ এগ্রো ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, চালকল মালিকরা তো লোকসানে চাল বিক্রি করতে পারেন না। বাজারে ধানের দাম যেমন হবে চালের দামও তো তেমনটিই থাকবে। তবে আমন ধান কাটা শুরু হলে চালের দাম কমে আসবে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *