এখন পর্যন্ত রাজধানীর ৪৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকার ৪৫ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবির গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। আক্রান্তদের ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। গত জুলাই পর্যন্ত অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় এসব তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।

সোমবার ইউএসএইডের সহায়তায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও আইসিসিডিআরবি কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত ‘প্রিভিলেন্স, সেরোসার্ভিল্যান্স ও জেনোমিক ইপিডিমিওলজি অব কভিড-১৯ ইন ঢাকা’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর ৪৫ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। গত জুলাই পর্যন্ত অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ঢাকা শহরের বস্তির প্রায় তিন-চতুর্থাংশ মানুষ ইতোমধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না এমন ৪৫ শতাংশ নগরবাসী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছে।

গবেষণার জন্য ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের মধ্য থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেওয়া হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়। প্রতি মহল্লা থেকে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া আটটি বস্তিকে এ জরিপে যুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে আইইডিসিআর সহকারী প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৮২ ভাগের কোনো লক্ষণই ছিল না, ৬ ভাগের লক্ষণ ছিল, ১২ ভাগ প্রিসিম্পটোমেটিক ছিল। ঢাকা সিটিতে ৯.৮ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। বস্তিতে আক্রান্তের হার ৫.৭ ভাগ।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ যাতে না আসে সেজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। জনগণ সচেতন না হলে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। যারা ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরও সতর্ক থাকার পরামর্শ থাকল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *