এবারের দুর্গাপূজায় শোভাযাত্রা ও প্রসাদ বিতরণ নিষেধ, ১১ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক : মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দুর্গাপূজায় মণ্ডপে সমবেত সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। গত ১২ অক্টোবর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জনস্বাস্থ্য-১ অধিশাখার উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমদ ওসমানী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গাইডলাইন মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গাইডলাইনে বলা হয়েছে-
১. মন্দির প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথ পৃথক ও নির্দিষ্ট থাকতে হবে।

২. পূজামণ্ডপে আগত ব্যক্তিবর্গ নির্দিষ্ট দূরত্ব (কমপক্ষে দুই হাত) বজায় রেখে লাইন করে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করবেন এবং প্রণাম শেষে বের হয়ে যাবেন। সম্ভব হলে পুরো পথ পরিক্রমা গোল চিহ্ন দিয়ে নির্দিষ্ট করতে হবে।

৩. পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং ভক্তের সংখ্যা অধিক হলে একাধিকবার পুষ্পাঞ্জলির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পূজামণ্ডপে আগত সবার মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

৫. মন্দিরের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৬. সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ পূজামণ্ডপে প্রবেশ করবেন না।

৭. হাঁচি ও কাশির সময় টিস্যু রুমাল বা কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢাকতে হবে। ব্যবহৃত টিস্যু বর্জ্য ফেলার জন্য পর্যাপ্ত ঢাকনাযুক্ত বিনের ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং জরুরিভাবে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. প্রসাদ বিতরণ, আরতি প্রতিযোগিতা/ধুনচি নাচ এবং শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯. ধর্মীয় উপাচার ছাড়া অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোকসজ্জা বর্জন করতে হবে।

১০. পূজামণ্ডপে একজন থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রয়োজনে বসার স্থানটি নির্দিষ্ট করে দিতে হবে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিফলিত হয়।

১১. স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে বলে গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *