বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে সাতটি যাত্রীবাহী আন্তঃনগর ট্রেনে ৭৯১ যাত্রীর জরিমানাসহ ভাড়া আদায় করা হয়েছে। ভাড়া আদায় করেছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের আওতাধীন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভাড়া আদায় হয় এক লাখ ৯৭ হাজার ২৭০ টাকা।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের ওপর দিয়ে যাওয়া বিভিন্ন যাত্রীবাহী পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেনে অভিযান চালানো হয়। এছাড়াও অভিযান চালানো হয় ঈশ্বরদী-খুলনা রেলরুট, ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুট ঈশ্বরদী-রাজবাড়ী, ঈশ্বরদী-চিলাহাটি, রেলরুটের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে।
পাকশি বিভাগের আওতায় আন্তঃনগর ট্রেন রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৬২ নম্বর সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী ৭২৭ নম্বর রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ৭৬৩ নম্বর চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭২৬ নম্বর সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭১৬ নম্বর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭২৮ নম্বর রূপসা এক্সপ্রেস, বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী ৭৯৫ নম্বর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় অভিযানে পাকশি বিভাগীয় সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (উত্তর) সাজেদুল ইসলাম বাবু (দক্ষিণ) কবির উদ্দিন রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) একেএম নূরুল আলম নুরু, ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক ঈশ্বরদীর আব্দুল মাবুদ, ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক, বরকতউল্লাহ আল-আমিন, শফিকুল ইসলাম, হাছিবুর রহমান, লিন্টু কুমার পাল, গৌড় সিংহ, মধুসূদন দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিও ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের আওতায় বিভিন্ন স্টেশনে একযোগে ব্লকচেক অভিযানে ৭৯১ জন বিনা টিকিটের ট্রেন যাত্রীর কাছ থেকে ভাড়া বাবদ এক লাখ ১০ হাজার ৮১৫ টাকা এবং জরিমানা বাবদ ৮৬ হাজার ৪৫৫ টাকাসহ মোট এক লাখ ৯৭ হাজার ২৭০ টাকা আদায় করা হয় এবং ট্রেনে গণউপদ্রব সৃষ্টি করার জন্যে তিনজন হকারকে আইনের হাতে সোপর্দ করা হয়। বিনা টিকেটের ট্রেন যাত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।