করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে পুনরায় সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : শীতের আগমনের সঙ্গে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি সম্পর্কে পুনরায় সকলকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে যেন কেউ বের না হন সেদিকে দৃষ্টি রেখে নিজেকে এবং অপরকে নিরাপদ রাখতে হবে।

শনিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২০ উদযাপন এবং জাতীয় সমবায় পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

কতগুলো জনগোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করে সরকারের পাশাপাশি সমবায়ীদের সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহই তাদের এভাবে জন্ম দিয়েছেন কাজেই তাদের নিজেদের কোনো দোষ নেই। কাজেই তারা কেন পরিবারের অংশ হিসেবে লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে না এবং কাজ পাবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাসমান বেদে সম্প্রদায়কে মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকার জায়গা প্রদান করে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সমবায় সমিতি করে দেওয়ার মাধ্যমে জীবন-জীবিকায় নতুন করে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করি এবং ২০১২ সালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে একাডেমিতে রূপান্তরিত করি এবং সেখান থেকে মানুষকে বিভিন্ন প্রকার ট্রেনিং দিয়ে দিচ্ছি। সরকার দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক অগ্রগতি ও নারী-পুরুষ সমতার উদ্দেশ্যে ১৯৯৯ সালে পল্লী-দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে।

তিনি বলেন, সরকার জাতীয় সমবায় নীতিমালা-২০১২, পুনরায় সমবায় সমিতি (সংশোধন) আইন- ২০১৩ এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। জাতির পিতা প্রদর্শিত পথই একমাত্র পথ, যে পথে দেশকে আমরা এগিয়ে নিতে পারি।

তিনি জাতির পিতার বক্তৃতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বলতেন- আমাদের লোকসংখ্যা বেশি, কিন্তু চাষ উপযোগী জমির পরিমাণ কম। সেজন্য চাষের জন্য যেমন যান্ত্রিকীকিরণ দরকার তেমনি উৎপাদিত পণ্য যাতে বাজারজাত এবং বিক্রী করা যায় সে জন্য সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।

তিনি বলেন, আমরা দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুগ্ধ কারখানা স্থাপন’ এবং ‘বৃহত্তর ফরিদপুরের চরাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কারখানা স্থাপন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, একটানা প্রায় বার বছর আমাদের সরকারের গৃহীত নানাবিধ উদ্যোগের ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের পল্লী এলাকায় অনেক দৃশ্যমান পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টচার্য্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান।

গণভবন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *