ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন চলাচল শুরু, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কড়াকড়ি

অনলাইন ডেস্ক : প্রায় সাড়ে সাত মাস পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চালু হলো লোকাল ট্রেন। বুধবার ভোররাত থেকেই হাওড়া, শিয়ালদহ এবং খড়্গপুর ডিভিশনে শুরু হয়েছে রেল পরিষেবা। করোনা সুরক্ষাবিধির কথা মাথায় রেখে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে প্রত্যেক স্টেশনে। অধিকাংশ জায়গায় যাত্রীরাও সুরক্ষাবিধি মেনে চলছেন। গোটা প্রক্রিয়ায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে রেল পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসন।

বুধবার থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪১৩টি এবং হাওড়া ডিভিশনে চলবে ২০২টি লোকাল ট্রেন চলবে। অফিসটাইমে ভিড়ের কথা মাথায় রেখে সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১টার মধ্যে চালানো হবে বেশিসংখ্যক ট্রেন। দৈনিক এবং সিজন টিকিটের জন্য হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের লম্বা লাইন পড়েছে। টিকিটের লাইনেও দূরত্ববিধির বিষয়টি নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ট্রেনের কামরার ভেতর একটি আসন ছেড়ে বসার জন্য যাত্রীদের বলা হচ্ছে। স্টেশনে ভিডিও দেখিয়ে সতর্কতামূলক প্রচারও করা হচ্ছে রেলের তরফে। ট্রেন সফর করত গেলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যাত্রীরা নিয়ম মানছেন কি না নজর রাখা হচ্ছে সে দিকেও।

এদিন ভোর থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। শিয়ালদহ থেকে সকালেই ছেড়েছে নৈহাটি, ব্যারাকপুর, রাণাঘাট, কৃষ্ণনগর যাওয়ার লোকাল। বারাসাত, হাসনাবাদ লাইনেও শুরু হয়েছে পরিষেবা। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়ও শুরু হয়েছে পরিষেবা। বজবজ, ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুরের উদ্দেশে ট্রেন ছেড়েছে শিয়ালদহ থেকে।

ট্রেনে চড়া অধিকাংশ যাত্রীর মুখে দেখা গিয়েছে মাস্ক। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনেই যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ছিলেন টিকিটের লাইনে। ট্রেন চালু হতেই যাত্রীরা আসতে শুরু করেছেন নিজের কর্মক্ষেত্রে। তাঁরা জানিয়েছেন, ট্রেন চালু হওয়া স্বস্তি দিচ্ছে তাদের। কারণ, ট্রেন চলায় যেমন সময়ে অফিস পৌঁছতে পারবেন, তেমনই খরচও অনেক বাঁচবে। তাদের মতে, আরো আগেই চালু হওয়া উচিত ছিল লোকাল ট্রেনের পরিষেবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *