কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার তিন কার্য দিবসে ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।মঙ্গলবার কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম বলেছেন আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারা মোতাবেক এ রায় প্রদান করেছেন।
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসার সুপার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের (৪২) কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের অষ্টম শ্রেণির ওই আবাসিক ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। এ বছরের ৫ অক্টোবর সোমবার বিষয়টি ওই ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে জানায়। ওই সহপাঠীর মাধ্যমে সংবাদটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিক্ষুব্ধ স্থানীয়রা মাদ্রাসায় হামলা চালায় এবং ভাঙচুরও চালায়।
মিরপুর থানায় করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ অক্টোবর রবিবার বিকেলে ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রীর অভিভাবক তার মেয়ের খাবার দিতে আসলে অফিস কক্ষে শিক্ষক-ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। বিষয়টি সোমবার সকালে ভিকটিমের পরিবারকে অবহিত করলে ওই ছাত্রীর মা মাদ্রাসায় এসে তার মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শোনেন। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল কাদের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদের দুইদিন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী সপ্তাহের ৬ দিন ওই মাদ্রাসায় থাকত। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত, আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত মাদ্রাসায়। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। পরে ভোর রাতে ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন তিনি। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়ে দেন। তবে মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠী ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।