উচ্চশিক্ষিত হয়েও বেকার, হতাশায় বাবা-মাকে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের হাওড়ার শিবপুরে ঘটেছে এক বীভৎস ও মর্মান্তিক ঘটনা। বুধবার একটি বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দুই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় দু’টি দেহ। উচ্চশিক্ষিত ছেলে চাকরি না পেয়ে হতাশা থেকেই বাবা-মাকে খুন করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। বাবা-মাকে খুনের পর ওই তরুণ নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। নিহতদের নাম প্রদ্যুৎ বোস ও গোপা বোস। ছেলে শুভজিৎকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শিবপুর কৈপুকুর লেনের চার তলার ফ্ল্যাট থেকে কয়েক দিন ধরেই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। বুধবার সকালে অসহনীয় হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও কেউ দরজা না খোলায় শিবপুর থানায় খবর পাঠান তাঁরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দু’টি মৃতদেহ এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে বসে থাকতে দেখে কার্যত হতবাক হয়ে যান।

মৃতদেহ পচাগলা হওয়ায় কিভাবে খুন করা হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, শুভজিতের মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্তা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এবং শুভজিৎকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

স্থানীয় পুলিশের দাবি, মা-বাবাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে ছেলে শুভজিৎ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরো মর্মান্তিক তথ্য। মা-বাবাকে খুনের পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি করেছেন শুভজিৎ। পুলিশ সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে। তবে এখনো কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, শুভজিতের বাবা প্রদ্যুৎবাবু ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। তাঁর কার্যত কোনো আয় ছিল না। অন্যদিকে শুভিজিৎ এমসিএ পাস। কিন্তু সেই অনুযায়ী চাকরি পাননি তিনিও। ফলে পরিবারে অভাব-অনটন চলছিলই। লকডাউনের সময় আরো সঙ্কটে পড়ে পরিবার। এই সব কারণেই মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন শুভজিৎ। সেই অবসাদ থেকেই খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

সূত্র: আনন্দবাজার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *