‘সমুদ্রের গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে লাগবে ১ কোটি টাকা’

অনলাইন ডেস্ক : টাইটানিক। বিশ্বে এই জাহাজ সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে তা কখনও ডুববে না। ১৯১২ সালের ১৪ এপ্রিল রাতে বরফের সঙ্গে  সংঘর্ষে উত্তর আটলান্টিক সমুদ্রে ডুবে যায় বিশাল এই জাহাজ।

ব্রিটিশ এই জাহাজের ধ্বংসস্তূপ আবিষ্কার করা হয় ১৯৮৫ সালে। এখন সেই ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগ হচ্ছে পর্যটকদের। তবে এর জন্য একজন পর্যটককে খরচ করতে হবে ১ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা ( ডলার প্রতি ৮৪.৭৪ টাকা ধরে)।

 

সমুদ্রতল থেকে প্রায় ১২,৪৬৭ ফুট নিচে গেলে দেখা যাবে সেই ধ্বংসস্তূপ।

সমুদ্রের তলার জগৎ অন্বেষণকারী একটি সংস্থা টাইটানিক জরিপ অভিযান ২০২১ ঘোষণা করেছে ইতোমধ্যেই। এই সময়ের মধ্যে মানুষের টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপের একটি ট্যুর করানো হবে।

ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, ওসানগেট অভিযানের প্রকল্পটি সাধারণ ‘বেসামরিক বিশেষজ্ঞদের’ পানির তলায় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার ও গবেষণার জন্য ‘মিশন বিশেষজ্ঞ’ হিসেবে প্রশিক্ষণ দেবে। ওসানগেটের মতে, এই মিশনের বেসামরিক বিজ্ঞানী ও অন্বেষীদের ধ্বংসস্তূপে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

প্রথম পর্যায়ে আগামী বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে মে শেষ পর্যন্ত চলবে এবং এর জন্য ছয়টি মিশন নির্ধারিত রয়েছে। প্রতিটি মিশন ১০ দিন করে হবে এবং ৫ টি সাবমেরিন ডাইভারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা বেসামরিক বিজ্ঞানী এবং এক্সপ্লোরারদের ধ্বংসের স্থানে নিয়ে যাবে। ওসানগেটের মতে, সিরিজের আরও একটি সেট ২০২২এর গ্রীষ্মে শুরু হবে।

ফক্স নিউজ অনুসারে, ৯ জন যোগ্য বিজ্ঞানী প্রতিটি মিশনে যাওয়ার জন্য অনুমোদন পাবেন। পাঁচ জনের মধ্যে কেবল তিনজন “মিশন বিশেষজ্ঞ” অনুমতি দেওয়া হবে।

সূত্র: ফক্স নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *