Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

করোনা সনদ ছাড়াই ভারত থেকে ফিরছে পাসপোর্ট যাত্রীরা

বেনাপোল প্রতিনিধি : কোভিড-১৯ সনদ নিয়ে বিপাকে ভারত ফেরত পাসপোর্ট যাত্রীরা। ভারতে পর্যাপ্ত প্রচারণার অভাবে দেশে পৌঁছে হয়রানি হতে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে সঠিক দিক নির্দেশনা না থাকায় ইমিগ্রেশন কতৃর্পক্ষও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছে অন্ধকারে। ফলে মানবিক কারণেই ভারত ফেরত যাত্রীদেরকে সনদ ছাড়াই ছাড় দিতে হচ্ছে।

সম্প্রতি করোনা প্রতিরোধে ভারত থেকে ফিরতেও বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের করানো নেগেটিভ সনদ লাগবে বলে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল শতাধিক পাসপোর্ট যাত্রী করোনা রিপোর্ট না নিয়েই ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এসব যাত্রীদের সাথে সনদ না থাকায় স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদেরকে প্রত্যায়ন না দেয়ায় ইমিগ্রেশনও ছাড়পত্র দেয়নি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আটকেপড়া যাত্রীদের মানবিক কারণে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে বলে জানান ইমিগ্রশন কর্মকর্তা। গতকাল থেকে কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে চেকপোস্টে। ভারতগামী প্রত্যেক যাত্রীকে সচেতন করা হচ্ছে যাতে ফেরার সময় কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ নিয়ে দেশে ফিরে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার সুজন সেন জানান, বাংলাদেশিদের ভারতে যাওয়ার জন্য এবং ভারতীয়দের বাংলাদেশে আসার জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ প্রয়োজন। তবে এবার বাংলাদেশিদের ভারত থেকে ফেরার সময় এবং ভারতীয়দের বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরার সময় করোনা নেগেটিভ সনদ ইমিগ্রেশন কতৃর্পক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের আসা ও যাওয়ার সময় করোনা পরীক্ষার সনদ গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আহসান হাবিব জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়েছি। ভারতে যাওয়া ও ভারত থেকে ফেরার সময় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশ-বিদেশি সব ধরনের যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে পূর্বের নিয়মে কার্যক্রম চলছে। পরবর্তী নির্দেশনা পৌঁছানো মাত্র করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমিগ্রেশন পুলিশ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

ভারতগামী যাত্রী আলতাফ হোসেন বলেন, জরুরি ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষা করতে ১৫০০ টাকা লাগছে। ভারতে বাংলাদেশিদের জন্য করোনা পরীক্ষা ফি কত পড়বে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। দুইবার করোনা পরীক্ষাতে অর্থের পাশাপাশি ভোগান্তি বাড়বে বাংলাদেশিদের। এতে বিশেষ করে বেকায়দায় পড়বেন চিকিৎসার জন্য ভারতে ভ্রমণকারী রোগীরা।এক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনা করে পরীক্ষা কার্যক্রম সহজ আর কম খরচে করার আহবান জানান তিনি। তিনি বেনাপোলে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য, বেনাপোল দিয়ে কোলকাতার সাথে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠায় এ পথে বছরে প্রায় ৩০ লাখ যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন।

Exit mobile version