পর্যটকদের নজর কাড়ছে কাশ্মীরের সেই তুষারপাত

অনলাইন ডেস্ক : কাশ্মীরের পর্যটনশিল্প বড় ধাক্কা খেয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর। পর্যটক আসা সেই কমতে শুরু করে, কমতে কমতে কভিড-১৯ মহামারীতে সেটা অসহনীয় স্তরে পৌঁছায়। এর ফলে পর্যটন সেবা খাতে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। অবস্থাটা কাটিয়ে উঠছে কাশ্মীর।

বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়, উপত্যকার রুগ্ন পর্যটন খাতকে সুস্থ করে তুলছে মনোহর তুষারপাত। বরফ পড়ছে এখানে-ওখানে। উঁচু উঁচু এলাকায় শিখরভূমি ও আশপাশ তুষারাচ্ছন্ন হচ্ছে। এ রকম এলাকার অন্যতম হচ্ছে বারামুল্লা জেলার গুলমার্গ। সেখানে এখন প্রায় ২ ফুট পুরু বরফ। অবস্থাটা স্কি খেলার জন্য দারুণ। তাই দিন দিন পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। শ্রীনগর বিমানবন্দরে দেখা গেছে দীপাবলি উৎসবের ছুটি উদ্যাপনের জন্য বেঙ্গালুরু, কলকাতা, চেন্নাই আর মুম্বাই নগরীর নর-নারী দলে দলে উড়োজাহাজ থেকে নামছেন। পর্যটন ফার্মের প্রতিনিধিরা তাদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। নিয়ে যাচ্ছেন চুক্তিবদ্ধ হোটেলে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন বিভাগের সচিব সরমাদ হাফিজ জানান, নভেম্বর থেকে পর্যটক আসছে। এরা যাচ্ছে শ্রীনগর, গুলমার্গ ও পাহালগাম। এ তিন জায়গায় নানারকম বিনোদনের আয়োজন রয়েছে। ছয় মাস ধরে বন্ধ ছিল গুলমার্গের গন্ডোলা কেরল্কার। এটা আবার চালু করা হয়েছে।
কাশ্মীরের ট্রাভেল এজেন্টস সমিতির সভাপতি ফারুক কুঠু বলেন, আগে পর্যটক আসত দৈনিক ৩০ থেকে ৪০ জন। এখন প্রতিদিন শয়ে শয়ে আসছে। তুষারপাত যত বাড়বে তত সংখ্যা বাড়বে।

মুম্বাইভিত্তিক পূজা ট্রাভেলস অ্যান্ড টুরসের মালিক সতীশ শাহ জানান, তিনি মহারাষ্ট্রের ৭০ পর্যটকের টিম নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, কড়াকড়ি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশি পর্যটকরাই আসছেন। বিদেশি পর্যটকদের আসতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা আসতে শুরু করলে ব্যবসা আরও চাঙ্গা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *