‘বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার সময় পাহারায় ছিলেন ২ শিক্ষক’

নিজস্ব প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরে দুই জন সরাসরি অংশ নেন। সে সময় পাহারায় আরও দুই জন ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ আরও জানায়, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত চার জনকে ইতোমধ্যে আটক করা হয়েছে। শহরতলীর জুগিয়া এলাকায় মাদার শাহ পশ্চিমপাড়ার মাজারের পাশে ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসা ইবনি মাসউদ (র.) নামে আবাসিক কওমি মাদ্রাসার ছাত্র আবু বকর ও আবু নাহিদকে তাদের শিক্ষক আল-আমিন হোসেন ও ইউসুফ আলী ভাস্কর্য ভাঙায় উদ্বুদ্ধ করেন। বকর ও নাহিদ যখন ভাস্কর্য ভাঙছিলেন, তখন আল-আমিন হোসেন ও ইউসুফ আলী পাহারা দিচ্ছিলেন।’

গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাসে কুষ্টিয়া পৌরসভা নিজস্ব অর্থায়নে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে শাপলার ভাস্কর্য ভেঙে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। নিচের দিকে থাকবে জাতীয় চার নেতার মুর‌্যাল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। ১২ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার একটি ভাস্কর্য তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল।

যেখানে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানেই নম্বর প্লেটহীন কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে এক যুবক ফাঁকা গুলি চালায়। এর ২০ গজের মধ্যে পুলিশ মোতায়েন ছিল। গুলির শব্দে পুলিশ এগিয়ে এলে মাইক্রোবাসটি দ্রুত মজমপুরের দিকে চলে যায়। দুটি ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *