প্রবাসী জয় নেহালের আর্থিক প্রণোদনায় কুষ্টিয়া বৃদ্ধাশ্রমে খাবার ও শীতের পোশাক বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার কৃতি সন্তান মানবতার সেবক ও একজন প্রকৃত করোনাযোদ্ধা কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক নেহাল স্যারের সন্তান আমেরিকা প্রবাসী জয় নেহালের আর্থিক প্রণোদনায় ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার কুষ্টিয়া মুক্ত দিবসের দিন জুম্মার নামাজের পর কুষ্টিয়া মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে অবস্থানরত মায়েদের মাঝে উন্নতমানের খাবার ও শীতের পোশাক বিতরণ করা হয়।
কুষ্টিয়া শহরের টালিপাড়ার বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে করোনাকালীন সময় থেকে অদ্যবধি কুষ্টিয়ার ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বিগত ৯ মাস ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজের সামনে মা ও শিশু পূর্ণবাসন কেন্দ্রের ৪০ জন মাতাকে উন্নতমানের রান্নাকৃত খাবার খাওয়ানো হয়। সেই সাথে উক্ত ৪০ জন মাতাকে শীতের পোশাক সোয়েটার সকল মাতাদের হাতে উপহার সরুপ তুলে দেওয়া হয়। উক্ত খাবার ও উপহার সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মা ও শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রের পরিচালক ইফতেখার হোসেন মিঠু, বিশিষ্ট সমাজসেবক কামরুজ্জামান পলাশ, সাংবাদিক শাহীন রেজা, রাসেল, দিশা, কিশোর, সাকিব ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা এক মাতা মিষ্টি।
অন্যদিকে প্রতি শুক্রবার এর নেয় আজ দুপুরে নামাজ শেষে পৌর গোরস্থানের সম্মুখে অবস্থান নেওয়া অসহায় ও ছিন্নমূলদের মাঝেও খাবার বিতরণ করা হয়।
জয় নেহাল সূদুর আমেরিকাতে পরিবার পরিজন নিয়ে করোনার এই কঠিন দুর্যোগ মুহূর্তে জীবন বাজি রেখে তিনি প্রতিনিয়ত কুষ্টিয়ার অসহায় ছিন্নমূল ও গরিব দুঃখীদের পাশে দাঁড়িয়ে তার নিজস্ব লোকবল দিয়ে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। যদিও তিনি আমেরিকার বোস্টন শহরে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বসবাস করছেন, তবুও তার নিজ মাতৃভূমির অসহায় ও দরিদ্রদের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনার মহামারীর দূর্যোাগ মুহুর্তে নিজ ও তার পরিবার প্রচন্ড বিপদের মুহুর্তে লকডাউন অবস্থায় দিনযাপন করলেও থেমে নেই তার দেশপ্রেম, দেশপ্রেম কি তা তিনি আমেরিকা থেকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। তার অবদান কুষ্টিয়াবাসী কখনো ভুলবেনা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন।
এ বিষয়ে জয় নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান জয় নেহাল এক বার্তায় বলেন, আমি যে সকল মানুষকে সহযোগীতা করি তা লোক দেখানোর জন্য করিনা, এটা করার উদ্দেশ্য একটাই সমাজের সকল বিত্ত্বশালী ও ধনীদের বিবেককে নাড়া দেবার জন্যই এটা করা, তারাও যেন আমার দেখা দেখি ঐ সকল ছিন্নমূল, অসহায় ও বৃদ্ধাশ্রম থেকে শুরু করে বিভিন্ন এতিমদের পাশে এসে দাঁড়ান। তিনি চান শুধু কুষ্টিয়া জেলা নয় ঐ সকল বিত্ত্বশালীলা নিজ অবস্থানে থেকে বাংলাদেশের সকল দরিদ্র মানুষের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *