Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

সিআইপি হলেন ৩৮ প্রবাসী বাংলাদেশি

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৮ সালের জন্য ৩৮ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত করেছে সরকার। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০ উদযাপন অনুষ্ঠানে নির্বাচিত সিআইপিদের মধ্যে সম্মাননা ও সিআইপি কার্ড দেয়া হবে।

সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ১০ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতি বছর মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা দেয়া হয়ে থাকে। ক্যাটাগরিগুলো হলো- বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি, বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি। সিআইপি-এনআরবি সম্মাননা-২০১৮ এ বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী ক্যাটাগরিতে একজন, বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোয় অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে তিনজন, বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে সাতজনসহ সর্বমোট ৩৮ জন এ মর্যাদায় ভূষিত হয়েছেন।

নির্বাচিত সিআইপিরা ২ বছর পর্যন্ত (প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে) বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতি নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসাবে অর্ন্তভুক্ত হবেন।

দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন সিআইপিরা।

সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডিলিংয়ের সুবিধা পাবেন।

সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশনের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা।

এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে।

Exit mobile version