তুরস্কে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ‘স্বর্ণ’ ভাণ্ডারের সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক : তুরস্কে ৯৯ টন স্বর্ণের খনি পাওয়া গেছে, যার মূল্য অনেক দেশের জিডিপির চেয়ে বেশি। এত বড় স্বর্ণের খনির দাম নিয়ে জল্পনা এখন পুরো বিশ্বে শুরু হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যা তুরস্কের অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আনবে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।

 

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, কৃষি ঋণ সমবায় সমিতির দেশ প্রধান ফারাহেটিন পোয়েরাজের সহযোগিতায় এই স্বর্ণের খনি আবিষ্কার করেছে সার সংস্থা গুবার্টাস। সংস্থাটি জানিয়েছে যে, সোনার মজুদ পাওয়া গেছে তার মূল্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার।
ডিএনএ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানায়, এত বড় সোনার স্টক পাওয়ার খবর এলেই তুরস্কের স্টক এক্সচেঞ্জ বোর্সা ইস্তাম্বুলের গুবার্তাসের শেয়ার দশ শতাংশ বেড়েছে। পয়রাজ সংবাদ সংস্থা আনাদোলুকে জানিয়েছিলেন যে প্রথম উত্তোলনে দুই বছর সময় লাগবে, এতে তুরস্কের অর্থনীতি বাড়বে।

 

তুরস্কের মধ্য-পশ্চিম সোগুতে এত সোনার সন্ধান পাওয়া গেছে বলে কৃষি ঋণ সমবায় বিভাগের দেশ প্রধান ফাহরতিন পয়রাজ সে দেশের গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তুরস্ক ইতিমধ্যে ২০২০ সালে ৩৮ টন সোনার উৎপাদন করে তার রেকর্ডটি ভেঙে দিয়েছে। অন্যদিকে, দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী বিশ্বাস দোনমেজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বার্ষিক ১০০ টন স্বর্ণ উত্‍পাদনের লক্ষ্য রেখেছিল। নতুন সোনার রিজার্ভের মূল্য অনুমান করা হচ্ছে যে এটি অনেক দেশের মোট জিডিপির চেয়ে বেশি হবে।

 

ওয়ার্ল্ডোমিটারের মতে, মালদ্বীপের জিডিপি ৪৮৭ মিলিয়ন ডলার, বুরুন্ডি ৩১১ মিলিয়ন ডলার। লাইবেরিয়ার জিডিপি ৩২৯ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের জিডিপি ২৫৩ মিলিয়ন ডলার এবং লেসোথোর জিডিপি ২৫৮ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া বার্বাডোস, গিয়ানা, মন্টিনিগ্রো এবং মরিটানিয়ার অর্থনীতিও ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *