কলকাতায়ও নতুন ধরনের করোনাভাইরাস, বর্ষবরণের ভিড় নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের কলকাতায় মিলল করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের খোঁজ। লন্ডন ফেরত একজনের দেহে মিলেছে মারণ ভাইরাসের নয়া স্ট্রেন। ইংরেজি বর্ষবরণের আগে কলকাতায় ব্রিটেনফেরত যুবকের দেহে করোনার নয়া ধরনের খোঁজ মেলায় বাড়ছে আশঙ্কা। দেখা দিয়েছে উদ্বেগও। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট।

 

ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ওই যুবককে। তাঁর ওপর চিকিত্‍সকরা প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছেন বলে জানা গেছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত ভারতের ২০ জনের শরীরে ব্রিটেনের করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের খোঁজ মিলেছে। মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেঙ্গালুরুর তিনটি, হায়দরাবাদের দু’টি এবং পুনের একটি নমুনায় করোনার নতুন ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ছয় আক্রান্তকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

 

ভারতের করোনার সংক্রমণের রেখচিত্র ক্রমশ নিম্নগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে। গত সাতদিনে সংক্রমণের হার ছিল সবচেয়ে কম। গত সাতদিনের হিসেবে দেখা গেছে, প্রতি দশ লক্ষ মানুষের মধ্যে নতুন আক্রান্তদের সংখ্যা হাতে গোনা। গড় হিসেবে দেখা গেছে মাত্র ১১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ২৫ শতাংশ বেড়েছে গোটা ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০,৫৫০ জন। মোট করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ১,০২,৪৪,৮৫৩ জন।

 

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩৩ হাজার যাত্রী ব্রিটেন থেকে দেশে এসেছেন। এর মধ্যে ১১৪ জনের শরীরে করোনা পাওয়া যায়। তাদের করোনাভাইরাসের জিনে চোখ রাখতে ১০টি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসর্টিয়াম গড়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বেঙ্গালুরুর নিমহ্যান্স, হায়দরাবাদের সিসিএমবি এবং পুনের এনআইভি থেকে প্রথম ব্রিটিশ স্ট্রেনের অস্তিত্বের কথা জানা গেল।

 

ভারতের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির (সিসিএমবি) কর্মকর্তা রাকেশ মিশ্র বলছেন, ‘এটি নতুন স্ট্রেন মাত্র। ভাইরাস সেই একই। তাই পুরোনো নিয়ম মানলেই যথেষ্ট।’

 

এদিকে, রাত পোহালেই ইংরেজি বর্ষবরণের উৎসব। সেখানে যাতে কোনোভাবেই এক জায়গায় বেশি ভিড় না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। করোনাবিধি মেনে কোনো জায়গায় যাতে বেশি মানুষের জমায়েত না হয়, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে তা নিশ্চিত করার বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি কৌশিক চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ।

 

কলকাতা আদালতের বক্তব্য, উৎসবের মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বছর শেষে বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ভিড় হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে নজরে আসছে। এই পরিস্থিতিতে করোনাবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও করতে হবে।

সূত্র: এই সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *