কুষ্টিয়ার নিজ গ্রামে আনুশকার দাফন সম্পন্ন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল সাতটায় জানাজা শেষে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের গোপালপুর গ্রামে জানাযা শেষে গোপালপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশগ্রহণ করেন আনুশকার পরবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের গ্রামের অসংখ্যক মানুষ।

 

আনুশকার দাফন শেষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দাবি জানান, আনুশকাকে হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দীহানের কঠোর শাস্তিসহ ঘটনার সঙ্গে আরও যদি কারো সংশ্লষ্টিতা থাকে তবে তাদেরও আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

 

এর আগে ভোর রাতে আনুশকার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স গ্রামে এসে পৌঁছায়। মরদেহ দেখতে ছুটে আসেন আত্মীয়-স্বজনসহ আশেপাশের গ্রামের অসংখ্যক মানুষ। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকেই।

 

তদন্ত সংশ্লিষ্ট অন্য একটি সূত্র জানায়, আড়াই মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্রে দীহানের সঙ্গে পরিচয় হয় আনুশকার। এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়।

ঢাক মেডিকেল কলেজ মর্গে আনুশকার মা বলেন, আমার মেয়ের বয়স ১৭ বছর। তবে সুরতহাল রিপোর্টে মেয়ের বয়স পুলিশ ১৯ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। কেন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখানোর চেষ্টা করা হলো? তবে,, পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আনুশকা তার বন্ধুর বাসায় যায়। সেখানে তার রক্তক্ষরণ হয়। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে দিহানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি দাবি করেছেন, উভয়ের সম্মতিতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। ওই বাসা থেকে অনেক আলামত জব্দ করা হয়েছে। যেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে।

 

জানা গেছে, দীহানের বাবার নাম আব্দুর রউফ সরকার। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার রাতুব এলাকায়। তবে তারা বসবাস করেন কলাবাগান থানাধীন ডলফিনগলিতে। বাড়ি নম্বর ৬৩/৪। ফ্ল্যাট নম্বর ডি-২। দীহান ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ‘ও’ লেভেল শেষ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *