এবিএস রনি, (যশোর) : শার্শার গোগা গাজিপাড়া থেকে মাদ্রাসা ছাত্রর লাশ ঘরের খাটের নীচে থেকে উদ্ধারের ১১ দিন পর মুল আসামি কাগজপুকুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজুরকে আটক করেছে শার্শা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসার ভিতর থেকে তাকে আটক করে শার্শা থানার এস আই মামুন। আটক হত্যাকারী হাফিজুর রহমান শার্শার গোগা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় যশোর জেলার নাভারণ সার্কেল এর অতিরিক্ত এএসপি জুয়েল ইমরান শার্শা থানায় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের শাহজানের ছেলে শাহপরানের লাশ উদ্ধার করা হয় ১১ দিন আগে। আর এ ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য উপত্তর ভিত্তিতে মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজুর রহমান জড়িত বলে প্রমান পাওয়া যায়। গত ২ জুন লাশ উদ্ধারের পর থেকে হাফিজুর পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের ব্যাপারে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালানা করলেও সে বার বার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। অবশেষে গতকাল দিঘলিয়া উপজেলার একটি কওমি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক হাফিুজরকে আটক করা হয়।
শিক্ষক হাফিজুরকে আটকের আগে তার আত্মীয় স্বজনকে আটক করে পুলিশের অর্থ বানিজ্য হয়েছে এরকম গুঞ্জন রয়েছে এলাকায় এ প্রশ্নে অতিরিক্ত এ এসপি জুয়েল ইমরান বলেন আমিও শুনেছি । কিন্তু যাদের নিকট থেকে অর্থ বানিজ্য হয়েছে তাদের আমি ডেকে জিজ্ঞাসা করলে এর কোন সত্যতা মেলে নাই। কাজেই আপনারা যারা সংবাদপত্রে কাজ করেন সঠিক তথ্যর ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করবেন। কোন বিভ্রান্তি মুললক সংবাদ প্রকাশ না করার আহব্বান জানান তিনি।
এদিকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজুর রহমানের আত্মীয় হেদায়েত উল্লাহ বলেছেন তাদের নিকট থেকে ঈদের দিন তিন লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। এবং আরো তিন লক্ষ টাকার দাবিতে একটি ইসলামি ব্যাংকের চেক নিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য গত ২ জুন গোগা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ফোনের ভিত্তিতে শার্শা থানা পুলিশ গোগা গাজীপাগড়া থেকে শাহপরানের গলিত লাশ মাদ্রাসা শিক্ষক হাফিজুরের ঘরের খাটের নীচে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর ৩ / ৪ দিন আগে বেনাপোল কাগজপুকুর হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র শাহপরান নিখোজ হয়। বুধবার দুপুরে আটক হাফিজুর রহমানকে যশোর কোর্ট হাজতে পাঠিয়েছে।
শাহপরানের পরিবার শিক্ষক হাফিজুরের ফাসির দাবি করে।