এক টন কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমাধান ৯৪ ডলারে

নিউজ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল জুল-এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা বায়ুমন্ডণ্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড বের করে তা তরল গ্যাসোলিন, ডিজেল বা জেট-এর জ্বালানিতে রূপান্তর করার নতুন কৌশল প্রদর্শন করেছেন। 

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে মিলে পরিবেশবান্ধব শক্তি নিয়ে কাজ করা কানাডীয় প্রতিষ্ঠান কার্বন ইঞ্জিনিয়ারিং এই প্রক্রিয়ার জন্য কিছুটা চুনাপাথর, হাইড্রোজেন আর বাতাস ব্যবহার করেছেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এটি ৯৪ ডলার খরচেই বায়ুমন্ডণ্ডল থেকে এক মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড সরাতে পারবে। এর ফলে পরিবেশের দূষণ কমবে আর সেইসঙ্গে পরিবেশবান্ধব তরল জ্বালানি উৎপাদিত হবে, বলা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’র প্রতিবেদনে। 

এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক ও কার্বন এনার্জি’র প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড কিথ বলেন, “এখন পর্যন্ত গবেষণায় দেখা যায় ডিএসি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়ুমন্ডণ্ডল থেকে প্রতি মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড সরাতে খরচ হয় ছয়শ’ ডলার।” একে ব্যয়বহুল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

একই ধরনের প্রক্রিয়া মাটির নিচে গ্রিনহাউস গ্যাস আটকানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তির এই বিশেষ ব্যবহারে গ্যাস থেকে তরল জ্বালানি না বানিয়ে তা মাটির নিচে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া’র স্কোয়ামিশ-এ একটি ছোট পরীক্ষামূলক প্রকল্পে ২০১৫ সাল থেকে বায়ুমন্ডণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড সরাতে এই কৌশল ব্যবহার করা হচ্ছে। কার্বন ইঞ্জিনিয়ারিং এই প্লান্টকে বড় পরিসরে বানাতে তহবিল খুঁজছে, ২০২১ সালের মধ্যে এই প্লান্ট বানানো হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন কেইথ।  

কার্বন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতাসহ কয়েকজন ব্যক্তিগত বিনিয়োকারীর মালিকানা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *