অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা বেশ কমে গেছে। রাতে ঠাণ্ডা অনেক বেশি বেড়ে গেছে, পাশাপাশি দিনের বেলাতেও তাপমাত্রা নীচের দিতে থাকছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই রকম আরও কয়েকদিন থাকবে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ''মূলত কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো আসতে পারছে না। তাই দিনের বেলাতেও তাপমাত্রা বেশি থাকলেও ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাতাস থাকায় অনেক বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
সামনের দু'একদিন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে আবার কমবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলছেন, জানুয়ারি মাসের ৩০/৩১ তারিখের দিকে আরেকটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। সেটা ফেব্রুয়ারির মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকবে। তবে প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে।
তাপমাত্রা ১০-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮-৬ এর মধ্যে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ এর নীচে থাকলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শনিবার বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কুতুবদিয়ায়, ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শনিবার ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার ধরণে পরিবর্তন:
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক শাহ আলম বলছেন, ''জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়ার ধরনে বেশ একটা পরিবর্তন চলে এসেছে। একসময় পৌষ-মাঘ মাস শীতের জন্য পরিচিতি থাকলেও এখন সববছরে সেরকম দেখা যায় না। গত দুই তিন বছর জানুয়ারি মাসে বেশ গরম পড়েছে। এই বছর আবার একটু ঠাণ্ডা পড়ছে। আবার ফেব্রুয়ারি থেকেই গরম পড়তে দেখা যায়।''
''দেখুন, গত কয়েকদিন তাপমাত্রা বেশি থাকার পরেও শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে, সেটা হচ্ছে কিন্তু কুয়াশার কারণে। আসলে যে ঠাণ্ডা বেশি পড়েছে, সেটা বলা যাবে না।''
তিনি বলছেন, বাংলাদেশকে একসময় ষড়ঋতুর দেশ বলা হলেও এখন দেখা যায় আসলে চারটি ঋতু হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০১৮ সালের আটই জানুয়ারি দেশের সবচেয়ে উত্তরে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়াতে। সেদিন তেতুলিয়াতে আজ ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এর আগে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু করার পর বাংলাদেশে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূত্র: বিবিসি বাংলা
<p>পরিচিতি</p><p>প্রকাশক ও সম্পাদক - মোঃ সালমান শাহেদ</p><p>বার্তা সম্পাদক - সজীব কুমার নন্দী</p><p>যোগাযোগ</p><p>ঢাকা অফিস: ৯৫ আজিজ ম্যানশন, (৩য়) তলা, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান সড়ক, কাকলী বনানী ঢাকা-১২১৩ বাংলাদেশ। </p><p>১৩৪ এন.এস.রোড, কুষ্টিয়া - ৭০০০, বাংলাদেশ।</p><p>ফোন - +৮৮০-১৮৩১-৩৬৬০১২</p><p>ই-মেইল - info@desherpotrika.com</p><p>সতর্কতা</p><p>এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার ও কপি করা বেআইনি।</p><p>© কপিরাইট ২০১৮ । www.desherpotrika.com</p>
Copyright © 2024 দেশের পত্রিকা - দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে. All rights reserved.