অনলাইন ডেস্ক : ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিলের পরিবর্তে নির্ধারিত জরিমানা আদায়পূর্বক লাইসেন্স নবায়ন, মালিকানা হস্তান্তর এবং দেশ-বিদেশে শাখা খোলার সুযোগ রেখে ‘বাংলাদেশ ট্র্যাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাস করেছে সংসদ। ২০১৩ সালের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে বিলটি আনা হয়।
সোমবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের একাদশ তথা শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। পরে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ এবং কয়েকটি ব্যতিত সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।
আগের আইনে কোনো অপরাধের জন্য ট্র্যাভেল এজেন্সিকে জরিমানা করার সুযোগ ছিল না। সরকার চাইলে তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে দিতে পারতো। এই বিলে জরিমানার সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করলে ট্র্যাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত। সংশোধিত আইনে যৌক্তিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে না পারলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা দিয়ে এজেন্সিগুলো আবেদন করতে পারবে। বিলটি পাস হওয়ায় এখন ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে-বিদেশে শাখা অফিস খুলতে পারবে। তবে অনুমোদন ছাড়া কোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি ঠিকানা পাল্টাতে পারবে না, সেই শর্তও দেওয়া হয়েছে সংশোধিত আইনে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত মামলা নিস্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, আইনটি অনুমোদত হলে নবায়ন আবেদন দাখিলে বিলম্বের ও অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিলের পরিবর্তে বিধি দ্বারা নির্ধারিত জরিমানা আদায়পূর্বক সনদ নবায়ন এবং নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে মালিকানা হস্তান্তর দেশে-বিদেশে শাখা অফিস খোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে ট্র্যাভেল এজেন্সি হতে কাঙ্খিত সেবাপ্রাপ্তি সহজ হবে। অধিকন্তু সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।